বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আর্থিক অপরাধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত! ‘সিবিআই দিবসে’র দিনে এভাবেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বার্তা দিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice of India (CJI) DY Chandrachud)।
‘
সিবিআই দিবস’ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। আর সেখানেই সিবিআইকে এমন পরামর্শ। প্রধান বিচারপতির মতে, তদন্তের প্রবল চাপে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারছে না। এমনকি তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকার বাইরেও বহু মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হচ্ছে বলেও মত।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ((CJI) DY Chandrachud) বলেন, প্রযুক্তি অপরাধের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে। সিবিআইকে এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এমনকি বর্তমান অবস্থায় বিভিন্ন মামলার তদন্তের দায়িত্ব কিছু না ভেবেই সিবিআই’য়ের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না।
এমনকি বহু ফৌজদারি মামলাগুলি অনুসন্ধান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। যা অনেকাংশেই তদন্তকারী সংস্থার জোনের বাইরে বলে মত তাঁর। এই অবস্থায় বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন চলতে থাকা মামলাগুলির দ্রুত নিস্পত্তির ক্ষেত্রে বিশেষ রণকৌশল তৈরির উপরও জোর দেন। এক্ষেত্রে তদন্তে গতিও আসবে এবং সময়ের সঙ্গে সিবিআই’ও তাল মেলাতে পারবে বলে মত প্রধান বিচারপতির। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিচারপতিদের প্রসঙ্গও তোলেন। বলেন, বিচারক অনেকেই বলেন যে তাদের মধ্যে সেরাদের সিবিআই আদালতে নিয়োগ করা হয়। কারণ তারা সংবেদনশীল। কিন্তু ধীরগতির বিচারের কারণে মামলা নিষ্পত্তির হারও ধীর হয়ে যায়।
তবে দেশে খুবই কম সিবিআই আদালত রয়েছে বলে আক্ষেপ শোনা যায় এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বক্তব্যে। এক্ষেত্রে ওভারওল সিস্টেমের প্রসঙ্গেও উঠে আসে। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই প্রযুক্তিরকথা বলেন প্রধান বিচারপতি। বলে রাখা প্রয়োজন, সারদা থেকে শুরু করে নারদ, বর্তমান নিয়োগ দুর্নীতি। একের পর এক মামলা এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের বিচারাধীন। প্রবল চাপ তদন্তকারী সংস্থার উপর। আর এই চাপের কথা আগে আদালতে জানায় সিবিআই।
শুধু তাই নয়, চাপের কারণে তদন্তের গতি প্রভাবিত হচ্ছে বলেও আদালতে জানায়। কিন্তু বিশেষ সুরাহা কিছু হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মামলার চাপও বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতির ((CJI) DY Chandrachud) এহেন বার্তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।