,বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক :: শুধু একটা নোটিফিকেশন দিক! বাংলার ৪২ টি লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেব। বিজেপিকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) । এবারও ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন অভিষেক। গতবারের থেকে এবারের জয়ের মার্জিন আরও বাড়িয়ে তিন লাখের টার্গেট নিয়েছেন।
সেই মতো নেতা-কর্মীদের ময়দানে নেমে পড়ারও নির্দেশ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের (Abhishek Banerjee) । প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনিও।গতকাল ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মথুরাপুরে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকেই দিল্লির সরকারকে দিলেন চ্যালেঞ্জ।
অভিষেক বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে নিয়েই সমালোচনা করেছেন বাংলার বিজেপি নেতারা। এখন তাঁরাই বাংলায় ক্ষমতায় আসলে লক্ষ্মীর ভান্ডারে তিন হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলছেন।
আর এরপরেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বিদায়ী তৃণমূল সাংসদের দাবি, ১৭ টি রাজ্যে বিজেপি কিংবা তাঁদের শরিক দলের সরকার আছে। সেই সমস্ত রাজ্যে সবাইকে ১৫০০ টাকা দিলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। তবে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিজেপি নেতাদের অনুরোধ করব আপনাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার দিতে হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা দিতে পারেন।
কিন্তু গ্যাস ফ্রি করে দেওয়ার কথা বলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আর তা করে দিলে রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেওয়ার কথাও বলেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্র সরকার শুধু একটা নোটিফিকেশন দিক। আগামী পাঁচ বছর রান্নার গ্যাস ফ্রি। সঙ্গে সঙ্গে ৪২ টি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী তুলে নেব বলে চাঞ্চল্যকর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর। আর এহেন দাবি ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
উনি ছাদে দাঁড়িয়ে শেডো প্র্যাকটিশ করছেন! পালটা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ছাদে দাঁড়িয়ে শেডো প্র্যাকটিশ করছেন, আর নিজেকে নিজে চ্যালেঞ্জ করছেন। অন্যান্য রাজ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রয়োজন নেই। সেখানে যথেষ্ট কর্মসংস্থান আছে বলেই দাবি বিজেপি নেতার। বাংলার শ্রমিকরা সেই সমস্ত বিজেপি রাজ্যে গিয়ে দিনের পর দিন কাজ করে বলেও দাবি।
বিজেপি সরকার বাংলার ক্ষমতায় আসলে উন্নয়ন করবে। আর সেই পরিকাঠামো তৈরি করতে কিছুটা সিওময় লাগবে। আর সেই সময় মানুষকে সেই টাকা দেওয়ার কথা বিজেপি বলছে বলেও এদিন দাবি শমীক ভট্টাচার্যের। অন্যদিকে গ্যাস ফ্রি’তেও দেওয়ার প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, পেট্রোল ডিজেলে সেসটা কেন তুলে নিচ্ছে না সরকার।
এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন করার কথাও জানান সাংসদ। বলে রাখা প্রয়োজন, ভোটের আগে কখনও শুভেন্দু অধিকারী তো কখনও সুকান্ত মজুমদারের মুখে উঠে এসেছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথা। আর সেই প্রকল্পে ২০০০ আবার কখনও ৩০০০ টাকা দেওয়ারও কথা বলেছেন।