বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ওই দিনেই বাংলাদেশের বিপ্লবী ও ভারতীয় সেনার কাছে আত্ম সমর্পন করেছিল ৯৩ হাজার পাকিস্তানী ফৌজ।
এটা ইতিহাস। ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করে চলেছেন ইউনুস সরকার। সোমবার ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানের ৯৩,০০০ ফৌজির আত্মসমর্পণের ঘটনার ৫৩ বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দেন, তাতে সৌজন্যের খাতিরেও ভারতের নামটুকু নেননি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। প্রায় ৩০ মিনিটের ভাষণের অধিকাংশ সময়টাই ‘পৃথিবীর ঘৃণ্যতম স্বৈরাচারী শাসক’ শেখ হাসিনাকে আক্রমণ শানিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ইউনুস ভারতের নাম নিলেন না কোনো? সচেতনভাবেই কি তিনি ইতিহাস ভোলাতে চান নাকি পাকিস্তানপন্থী ধৰ্মীয় মৌলবাদীদের চাপে তিনি ভারতের নাম নেবার সাহস পেলেন না?
তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সৌজন্য দেখিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের স্যালুট জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ বিজয় দিবসে ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে অবদান রাখা বীর জওয়ানদের সাহসিকতা এবং আত্মবলিদানকে সম্মান জানাচ্ছি। তাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ এবং অবিচল সংকল্পই আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রেখেছিল এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। তাঁরা যে আত্মত্যাগ করেছেন, তা চিরকাল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের দেশের ইতিহাসে গেঁথে থাকবে।’ কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতা আনা হয়েছিল, তাতে স্বৈরাচারী সরকার আঘাত হানে বলে দাবি করেছেন ইউনুস। তিনি দাবি করেছেন, এবার যে বিজয় দিবস পালন করা হচ্ছে, সেটা বিশেষ। কারণ কয়েক মাস আগেই ‘পৃথিবীর ঘৃণ্যতম স্বৈরাচারী শাসককে’ পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন ছাত্র-যুবরা।