বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় ট্রাম্প শাসন প্রতিষ্ঠার পরেই অনেকে মনে করেছিলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুন্ন আমেরিকা। কথাটা ঠিক, ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমন ভয়ঙ্কর ঘটনা।

 

বহু রক্ত ঝরার পর গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামি লিগ সরকার। হাসিনার পতনে অনেকেই আমেরিকার গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছিলেন। কারণ মুজিবকন্যার সঙ্গে আমেরিকার সংঘাত কারও অজানা নয়। মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার আহ্বান জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু এখন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা। একাধিকবার তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই অবস্থায় গত বুধবার অনেকেই বাংলাদেশকে ইসলামিক কান্ট্রি ঘোষণা করার পক্ষে সওয়াল করেন।

এই অবস্থায় হাসিনার শাসনকালের কথা তুলে ধরে হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন আধিকারিক লিসা কার্টিস বৃহস্পতিবার জানান, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ এখন কঠিন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। শেখ হাসিনা রাজনৈতিক পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য নানা পদক্ষেপ করেছিলেন। তাঁর সময় অনেক আশার আলো ছিল। গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হওয়া নিয়ে আশাবাদী ছিলেন নাগরিকরা।”

এই প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম রক্তাক্ত দিন ২০১৬ সালের ১ জুলাই। সেদিন রাজধানী ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। হাসিনাহীন বাংলাদেশে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই গুলশন হামলার স্মারক। মূর্তি ভেঙে লাগিয়ে দেওয়া হয় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের পোস্টার। গুলশন হামলার প্রসঙ্গত তুলে লিসা কার্টিস বলেন, “বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদের ইতিহাস রয়েছে। ২০১৬ সালের হোলি আর্টিজানের ঘটনা আমাদের সকলের মনে আছে। ইসলামিক স্টেট তাদের কার্যকলাপ বাড়িয়ে তুলেছিল।” তিনি বলেন, আবার হয়তো সেই পরিস্থিতি ফিরে আসতে চলেছে বাংলাদেশে। এই বিষয়ের উপর কড়া নজর রেখেছে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *