বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ওয়েলিংটন বা চাঁদনী অঞ্চলটা মূলত ইলেকট্রনিকস জিনিসের বাণিজ্য কেন্দ্র। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের অল্প বাজেটের পুজো। কিন্তু তারা অভিনব কিছু একটা করতে চান।

 

সেই ভাবনা থেকেই থিম শিল্পী রবিন দা অসাধারণ একটা মঞ্চের উপস্থাপনা করেছে। তারা বলেন, তাদের বিশ্বাস মানুষের এই পুজো ভালো লাগবে। সবাইকে তারা তাদের পুজো মন্ডপ দর্শণের জন্য আমন্ত্রণ করেন। ক্লাব সদস্য সুস্মিত বড়ুয়া বলেন, অতি সাধারণ জিনিস, যা আমরা ফেলে দিই তেমন জিনিসকে তারা এবার পুজো মন্ডপে কাজে লাগিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বছর চারিদিকে ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ চলছে। সেই পরিস্থিতিতে তাঁর অনুরোধ, আন্দোলন আন্দোলনের পথে চলুক, আবার এবার এই চার দিনের পুজোতেও মানুষ আনন্দে অংশ নিক।

থিম শিল্পী রবীন রায় বলেন, সমস্ত জিনিসেরই দুটি রূপ – একটা অন্তরের রূপ আরেকটা বাইরের রূপ। আমরা বাইরের রূপটা হয়তো দেখতে পাই কিন্তু অন্তরের রূপটার খবর রাখি না। কিন্তু দুটো রূপের মূল্য আছে। তিনি বলেন, ওই অঞ্চলটা প্রধানত বৈদ্যুতিক ফ্যানের মার্কেট। সেই মার্কেটের পরিত্যক্ত জিনিস দিয়েই তিনি ওই মঞ্চ সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, একটা অকেজো জিনিস এখানে আনা হয়, তারপর সম্পূর্ণ নতুন হয়ে আবার চলে যায়। এই দুটো রূপকেই তারা ‘অন্তর ও বাহির’ বলে চিহ্নত করেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেও থাকে এই দুটি রূপ। তারা এই থিমের মধ্য দিয়ে তাও বোঝাতে চেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *