বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:নাগরিক মহলে একটা প্রশ্ন অনেকেই করেন যে, লালুজি ও নীতিশজির বিহারে কি কোনো মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে?এই বিষয় বোঝার জন্য এই ঘটনাটাই যথেষ্ট।একেই কি বলা যায় – সেই পুরোনো বিহার! তা না হলে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার উদ্বোধন করার পরেই এমন ঘটনা কেউ আশা করেন? শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে বিহারের সাহারসায়।
মৎস্য দপ্তরের তরফে আয়োজন কা হয়েছিল একটি ফিশ এগজিবিশনের। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে আসেন নীতীশ কুমার। তিনি ফিতে কাটার পর ঘুরে দেখেন গোটা প্রদর্শনী। জনগণের দেখার জন্য একটি বায়োফ্লক ট্যাঙ্কে বিভিন্ন ধরনের মাছ রাখা ছিল। কিন্তু নীতীশ কুমার বেরিয়ে যেতেই গোটা প্রদর্শনী অন্য রূপ নেয়। বায়োফ্লক ট্যাঙ্কে ঝাঁপিয়ে পড়েন সকলে। মাছ নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয় রীতিমত। একেবারে মৎস্য লুন্ঠন বলতে যা বোঝায়! পুলিশ শুধুই নীরব দর্শক। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটলো। কেন প্রশাসন সচেতন ছিলো না?
আসল কথা হলো, বেনিয়মটাই বিহারে এক সময় নিয়ম ছিল।নীতিশ কুমার ফিতে কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করে চলে যান। আসল গোল বাঁধে তার পরই। মুহূর্তের মধ্যে মৎস্য প্রদর্শনী বদলে যায় সার্কাসে! কৃত্রিম জলাশয়ে থাকা মাছগুলোর উপর হামলে পড়েন সেখানে থাকা লোকজন। যে যত পারেন মাছ লুঠ করে নিয়ে পালিয়ে যান। আর শুধু নিরব দর্শকের মতো তাকিয়ে দেখেন মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
মাছ নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয় রীতিমত। দেখলে মনে হবে যেন নীতীশ কুমার যাওয়ারই অপেক্ষা করছিলেন সকলে। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ মৎস্য দপ্তর। এক আধিকারিক জানান, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ক্ষতিই হয়ে গেল বিস্তর। মাছ তো লুঠ হয়েছে। শুধু তাই নয় বায়ো ট্যাঙ্কটিও ভেঙে গিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভিডিও থেকে একজন মন্তব্য করেন, ‘সরকারি মাছ তাই নীতীশ কুমার যেতেই সবাই লুঠ করছে।’ নাগরিক মহল বলছেন, আসলে লালু প্রসাদের বিহারের সঙ্গে নীতীশের বিহারের খুব একটা পার্থক্য নেই। দুটোই আসলে একই কয়নের এপিঠ ওপিঠ।