সূর্য চট্টোপাধ্যায়, নদীয়া: পাত্রীপক্ষ নদীয়ার ধানতলার বঙ্কিম নগরের এবং পাত্রপক্ষ নদীয়ার শান্তিপুরের গোবিন্দপুর এলাকার। দুই পরিবার রাজি হয় বিয়ে দেবেন, এতে কোনো দোষ ছিল না কিন্তু বাধ সাধলো মেয়ের বয়স।
পাত্রীর বয়স ১৬ বছর আর পাত্রের বয়স ২৫ হবে। সূত্রের খবর পাত্রীর বাড়িতেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেখানেও সমাজ থেকে বাধা পাওয়ায় রাতারাতি দুই পক্ষ শান্তিপুরে চলে আসে। গোবিন্দপুর কালীবাড়ীতে তাঁদের বিয়ের ব্যাবস্থা হয় কিন্তু এর মধ্যেই শান্তিপুরের কিছু সনামধন্য সমাজকর্মী ও পরিবেশকর্মীর কাছে খবর আসে যে, নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে।
তাঁরা তৎপর হয়ে শান্তিপুরের বিডিও-র দ্বারস্থ হন। শান্তিপুরের বিডিও সুমন দেবনাথ তৎক্ষণাৎ শান্তিপুর থানাকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ৪.০০ টের মধ্যে দুই পরিবারের সাথে দেখা করে তাঁদেরকে বুঝিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে ১৬ বছরের নাবালিকার বিয়ে রুখে দেন। দুই পরিবার-ই স্বীকার করেছে যে তাঁরা পাত্রীর সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত বিয়ের বিষয়ে অপেক্ষা করবেন। এখন অবস্থা স্বাভাবিক।