নিজস্ব সংবাদদাতা,জলপাইগুড়ি:  প্রকৃতির ঝাড়ুদার বলে পরিচিত শকুনও আস্তে আস্তে প্রায় নিরবংশ হয়ে যেতে বসেছে ।

ভাগাড়ে আজকাল শকুনের দেখা পাওয়া যায় না।

শকুনদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক সেমিনারে বক্সার ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রধান শুভঙ্কর সেনগুপ্ত আজ এখানে  জানান, শকুনদের গতিবিধি তথা যাপনের খুঁটিনাটি মনিটর করার জন্য তাদের পায়ে স্যাটেলাইট   ‘কলার’ পরানো হবে।

এতে শকুনদের ওপর নজরদারি করা সম্ভবপর হবে। তিনি জানান খুব শীঘ্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট ট্যাগিং আনা হবে।

এছাড়া ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারের শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে দুটি শকুন এই অঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হবে। উদ্দেশ্য – শকুনদের বংশবৃদ্ধি ।
পরিবেশের পক্ষে উপকারী এই পাখি আজ বিপন্ন।তাদের অস্তিত্ব সংকটে। ইতিমধ্যে এই পাখির কয়েকটি প্রজাতি লুপ্ত হয়ে গেছে এই পৃথিবী থেকে। এখনও বিপন্নপ্রায় কয়েকটি প্রজাতি টিকে আছে। ইতিমধ্যে শকুন সংরক্ষণ নিয়ে আমাদের দেশ সহ পৃথিবীর নানান দেশে শকুন সংরক্ষণ শুরু হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের বক্সা টাইগার প্রজেক্ট ও বনবস্তি এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে একটি শকুন সংরক্ষণ ও প্রজননক্ষেত্র। ২০০৫ সালে জুন মাসে ৫একর জমিতে গড়ে ওঠা এই কেন্দ্রে ২০০৬ সাল থেকে শকুনের বাচ্চা দেওয়া শুরু হয়। বর্তমানে এই কেন্দ্রে ৫ প্রজাতির ১২৯ টি শকুন রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here