দক্ষিণ দিনাজপুরঃ সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসককে মারধোর করার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক দিলেন ইস্তফা। শনিবার রাত্রে উৎতপ্ত হয়ে উঠে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর হাসপাতাল চত্বর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শনিবার রাত্রে এক রুগীর চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে উৎতপ্ত হয়ে উঠে হরিরামপুর হাসপাতাল চত্বর। অভিযোগ শনিবার রাত্রিতে হরিরামপুর হাসপাতালে এক রুগী চিকিসা করাতে এলে ঐ রুগীর চিকিৎসা শুরু করতে দেরীতে আসেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ফায়েজা নাসরিন। স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে সেই সময় হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ফায়েজা নাসরিন খাবার খাচ্ছিলেন।
এরপর চিকিৎসক রুগীর চিকিৎসা করতে এলে অভিযোগ হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুমিতা রায় সহ স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং ঐ চিকিৎসকের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ এরপরেই উৎতপ্ত বাক্যবিনিময়ের পাশাপাশি ঐ চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলেন তারা। ঘটনার পরেই হরিরামপুর থানায় অভিযোগ জানায় হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃফায়েজা নাসরিন এবং সেই সঙ্গে তিনি নিজের ইস্তফাপত্রও জমা দেন উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে।
এমন ঘটনার কথা কানাঘুষো হয়ে ছড়িয়ে পড়তেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও প্রকৃত কি ঘটনা ঘটেছিল সেই বিষয়ে জানতে হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ফায়েজা নাসরিন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যদিও ঘটনার পর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুমিতা রায় অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পালটা অভিযোগ করে বলেন ওয়ার্ডে আরও কয়েকজন অসুস্থ শিশু বহুক্ষণ ধরে অপেক্ষা করলেও চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না বলে রুগিদের বাড়ির লোকেরা অভিযোগ করেছেন। অনেক পরে চিকিৎসক ওয়ার্ডে এসে উলটে বাড়ির লোকেদের সাথে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন।
সেখানে উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হলে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন মাত্র। মারধরের ঘটনা ঘটবার মত কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র-ও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন ডাক্তারকে মারধোর করার ঘটনা সত্য নয়। তিনি বলেন ডাক্তারের সঙ্গে সভাপতির কথা কাটাকাটি হয়েছে একটা ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে।
হরিরামপুর হাসপাতালের বি.এম.ও.এইচ ডাঃ সৌভিক আলম জানান হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ফায়েজা নাসরিন হরিরামপুর থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তিনি এও জানান যে সেই সঙ্গে ডাঃ ফায়েজা নাসরিন নিজের ইস্তফাপত্রও জমা দিয়েছেন তবে আমরা ডাঃ ফায়েজা নাসরিনকে অনুরোধ করেছি ইস্তাফাপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য।.