নিজস্ব প্রতিবেদন : ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল, এবার তৃণমূলের জন্য এই স্লোগানকে সামনে রেখেই এগোতে চাইছে জোড়াফুল শিবির। পুরভোটকে সামনে রেখে আজ থেকে কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল সংগঠন। গোটা রাজ্য জুড়ে আগামী ১২ দিন ধরে তৃণমূলের শাসক দলের নেতারা চষে বেড়াবেন ত্রিপুরার আট জেলায়।
আপাতত ঠিক করা হয়েছে সুবল ভৌমিক, ত্রিদিব দত্ত, ইদ্রিস মিঞা, অনিতা দাস, মলিন জামাতিয়া, শিবানী সেনগুপ্ত, রাকেশ দাস,সানি পাল ও সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত যাবেন তিন জেলায়। এর মধ্যে ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলায় ৫ দিন, গোমতী জেলায় ৪ দিন ও সিপাহীজলায় ৩ দিন ধরে প্রচার করবেন তৃণমূল কর্মীরা। অপর একটি দল সুস্মিতা দেব, কৃষ্ণধন নাথ, প্রকাশ চন্দ্র দাস, দেবব্রত দেব রায়, মামন খান ও শর্মিষ্ঠা দেব সরকার, শান্তনু সাহা, মৃণাল কান্তি দেবনাথ ও দ্বীপান্বিতা চক্রবর্তী থাকছে । তারা সিপাহীজলা জেলায় ২ দিন ও ত্রিপুরার পশ্চিম জেলায় ১০ দিন প্রচার করবেন।অন্য একটি দলে থাকছেন আশিস লাল সিংহ, রুবি চক্রবর্তী, কল্প মোহন ত্রিপুরা, বাপটু চক্রবর্তী, উত্তম কলুই ও জাকির হোসেন। এনারা খোয়াই জেলায় ৩ দিন, ধলাই জেলায় ৩ দিন ও উনকোটি জেলায় ২ দিন প্রচার করবেন । মুলত, সারা রাজ্য জুড়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়া, ত্রিপুরার প্রত্যেকটি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, দলের কাজ প্রত্যক্ষ ভাবে দেখা ও সামাজিক কাজে যোগ দেওয়া। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ওয়ার্ড জুড়ে নেতা, কর্মী ও সহানুভূতিশীলদের একত্রিত করা ।
তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এক নায়কতন্ত্র চালাচ্ছে গোটা রাজ্য জুড়ে, মানুষ আমাদের কাছে আসবার আগে, আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে যাবো, এটাই আমাদের জনসংযোগ বলে অবিহিত করা হয়েছে। স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, ” সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হচ্ছেন, আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন এটা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না।” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ” আসল বিপ্লব ত্রিপুরা থেকেই এবার শুরু হবে। বিপ্লব দেব এবং তার সরকার আমাদের ভয় পেয়েছে।”