নিজস্ব প্রতিনিধি , মালদা : ত্রিকোণ প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধুকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল অপর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে । শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার জালুয়াবাথাল গ্রামে ।গুরুতর জখম আহত যুবককে রাতেই স্থানীয় গ্রামবাসীরা মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন ।
মেডিকেল কলেজের ডেপুটি সুপার ডাঃ জ্যোতিষ চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, আহত রোগীর পেটের ডান দিকে কিডনির সামান্য উপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর আটটি সেলাই পড়েছে। রক্তক্ষরণ বেশি হওয়ায় আপাতত তাকে মেডিকেল কলেজের সার্জিক্যাল বিভাগে রেখেই চিকিৎসা চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলাকারী বন্ধু সেলিম শেখের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত যুবকের পরিবার। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতের নাম জনি শেখ (২৪)। তার বন্ধু সেলিম শেখ। দুজনেরই বাড়ি জালুয়াবাথাল গ্রামে। স্থানীয় এক কিশোরীর সঙ্গে সেলিমের ভাব ছিল। কিন্তু কয়েকদিন ধরে সেলিম ও তার প্রেমিকার মধ্যে বচসার জেরে সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয় । আর ওই কিশোরী জনি শেখের সঙ্গে মেলামেশা করার চেষ্টা চালায়। বন্ধুর প্রেমিকাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছিল জনি শেখ। কিন্তু এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সন্দেহ এবং বিবাদ তৈরি হয়।
পুলিশকে অভিযোগে আক্রান্ত জনি শেখ জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে জালুয়াবাথাল গ্রামে জলসা চলছিল। সেই জলসা দেখে ফেরার সময় ফাঁকা মাঠে একা পেয়ে হাসুয়া দিয়ে তার উপর হামলা চালায় সেলিম শেখ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। তার মৃত্যু হয়েছে এরকম আঁচ করেই সেলিম এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। যদিও সে সময় গ্রামবাসীরা আহতকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করার পর মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নিয়ে আসেন।
আক্রান্ত জনি শেখের কাকা আনবার শেখ জানিয়েছেন, সেলিম শেখের সঙ্গে তার প্রেমিকার রাগারাগির জেরে বনিবনা ছিল না। কিছুদিন ধরে কিন্তু ওই মেয়েটি আমার ভাসতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করত । আমার ভাসতা এড়িয়ে চললেও কথা বলার চেষ্টা চালাত ওই মেয়েটি । এই বিষয় নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে বন্ধু সেলিমের । আর তারই জেরেই জনির উপর হামলা চালানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার জানিয়েছেন, প্রেম সংক্রান্ত কোন একটি বিষয় নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে ঝামেলায় একজন আহত হয়েছে । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।