কাটোয়া : প্রাণী সম্পদ বিকাশের মাধ্যমে প্রাণীজ উৎপাদন বৃদ্ধি,কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা গ্রামীণ অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ন এবং তৎসংক্রান্ত জন সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৩-১৯ শে নভেম্বর সারা রাজ্যের সঙ্গে কাটোয়া ২নং ব্লকে বিভিন্ন জনমুখী কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে ২২-তম জাতীয় প্রাণী সম্পদ বিকাশ, ২০১৮ উদযাপিত হচ্ছে।
এই উপলক্ষ্যে কাটোয়া ২নং ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ ও কাটোয়া ২নং পঞ্চায়েত সমিতির ব্যবস্থাপনায় ও জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় ১৪ নভেম্বর বুধবার বেলা ২টায় ব্লক স্তরের মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হলো জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ বটতলায়।
ঘোড়ানাশ গ্রামের বটতলায় প্রাণী স্বাস্থ্য শিবির, প্রাণী টীকাকরণ শিবির,উন্নত প্রজাতির গবাদি প্রাণীর প্রদর্শনী সহ “প্রাণীজ উৎপাদনে টীকাকরণের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা,উৎসাহ মূলক পুরস্কার বিতরণী, স্থানীয় কলাকুশলীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় ব্লক স্তরের মূল অনুষ্ঠানটি।
এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া ২নং ব্লকের সমষ্টি প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক ডাঃ জয়কিংকর মান্না, কাটোয়া ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিষাদ সামন্ত,কাটোয়া ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি জাগু প্রধান, ,সহ অধিকর্তা ও জেলা পর্যবেক্ষক ডাঃ রথীন চ্যাটার্জ্জী,পূর্ব-বর্ধমান জেলা প্রাণী চিকিৎসা আধিকারিক ডাঃ সুকুমার চ্যাটার্জ্জী,জেলা পরিষদের সদস্য তুষার সামন্ত,কাটোয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুব্রত মজুমদার, জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম ঘোষাল , গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সমাপ্তি মাঝি ঘরুই ,জগদান্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক রবীন পাল,জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ভাস্কর চ্যাটার্জ্জী সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট আধিকারিক।
প্রচুর সাধারণ মানুষ উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি সাফল্যমণ্ডিত করেন।বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কার করা হয়।সেরা গাভী,সেরা বাছুর,সেরা ছাগল ও সেরা ভেড়ার উপভোক্তাদের প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়।
ব্লকের সেরা প্রাণীবন্ধু স্বর্ণকমল বৈরাগ্য ও শীর্ষেন্দু চ্যাটার্জ্জী ও ব্লকের সেরা প্রাণীমিত্রা ভগবতী দে ও অর্চনা ঘোষকেও পুরস্কৃত করা হয়।স্থানীয় শিল্পীদের সংগীত উপস্থিত দর্শকদের আনন্দ দেয়।এধরনের অনুষ্ঠান করার জন্য গ্রামবাসীরা জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতকে সাধুবাদ জানান।