নিজস্ব প্রতিনিধি :লোকসভা ভোটের বাকি আর মাস পাঁচেক। এর মধ্যে হঠাৎই স্ট্র্যাটেজি বদল করল বিজেপি। আর এই নয়া স্ট্র্যাটেজির ইঙ্গিত মিলল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলায়।
প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, মায়াবতী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব বা বামপন্থীরা ভোট পেলে আপত্তি নেই। কিন্তু কংগ্রেসকে একটি ভোটও নয়, তাদের রাজনৈতিকভাবে বনবাসে পাঠাতে হবে।
তেলেঙ্গানার নিজামবাদের ভোটের প্রচারে গিয়ে মোদী বলেন, ‘মায়াবতী বা অখিলেশকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই উত্তরপ্রদেশের। মমতা বা বামেদের নিয়ে আপত্তি নেই পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু কংগ্রেসকে দেশ থেকে তাড়াতে হবে।’ তেলেঙ্গানায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান মোদী। তবে কটাক্ষ বেশী ছিল কংগ্রেসের প্রতিই। মোদীর কথায়, ‘কেসিআর যদি শিক্ষানবীশ হন, তাহলে কংগ্রেস হচ্ছে দুর্নীতির কলেজের অধ্যাপক। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে টিডিপি তেলেঙ্গানার যা ক্ষতি করেছে তাঁর ১০০ গুণ বেশি ক্ষতি করবে।
কিন্তু হঠাৎ, মমতা-অখিলেশ-মায়াবতীদের মতো তীব্র বিরোধীদের প্রতি মোদির সুর নরম কেন, কেনই বা শুধু কংগ্রেসের প্রতি এ হেন বিদ্বেষ? মোদীর বিরুদ্ধে মায়াবতী, মমতা ও বামপন্থীরাই সোচ্চার, অথচ তাঁদেরই ছাড় দেওয়াকে বিরোধী ভোট ভাগের চেষ্টা হিসাবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফলপ্রকাশের পর দিল্লিতে বৈঠক রয়েছে বিরোধী নেতানেত্রীদের। সেখানে থাকবেন মায়া-মমতা-অখিলেশও। সে কারণে বিরোধী জোট থেকে কংগ্রেসকে আলাদা করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে জোটের পথও খোলা রাখতে চাইলেন তিনি।