বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
২০১৩ সাল আইপিএল ফিক্সিং কাণ্ডে উত্তাল হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট। স্পট ফিক্সিং কাণ্ড ভারতীয় ক্রিকেটে অন্যতম কলঙ্ক জনক অধ্যায় হিসাবেই পরিচিত হয়ে আছে। এর জেরে দুই বছরের জন্য আইপিএল থেকে নির্বাসিত হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যা লস। এরপর ২০১৯ সালেও ফের আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠে। তদন্ত ভার গ্রহণ করে সিবিআই। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে সেই তদন্ত বন্ধ হয়ে গেল।
পাকিস্তান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০২২ সালের মে মাসে দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। প্রথম এফআইআরটিতে দিল্লির রোহিনীর বাসিন্দা দিলীপ কুমারের পাশাপাশি হায়দরাবাদের বাসিন্দা গুররাম বাসু এবং গুররাম সতীশের নাম যুক্ত করা হয়। দ্বিতীয় এফআইআরে অবশ্য রাজস্থানের চার বাসিন্দা যুক্ত ছিলেন। তাঁরা হলেন সজ্জন সিং, প্রভুলাল মীনা, রাম অবতার ও অণিত কুমার।
২০১৯ সালের আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে গত দেড় বছর ধরে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু এই অভিযোগের কোনও উপযুক্ত প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। ফলে ২০২৩ সালের শেষে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা আদালতে জানিয়ে দেয় সিবিআই। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বিশেষ আদালতে একটি ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই।
তদন্তের শুরুতে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সসাল পর্যন্ত অভিযুক্ত গুররাম সতীশের ছয়টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল। আরও এক অভিযুক্ত গুররাম বাসুর অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও উপযুক্ত প্রমাণ জোড়ার করতে পারেনি সিবিআই। ফলে তদন্তে কেউই দোষী প্রমাণ হয়নি।
বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। কোর্ট ঠিক করবে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে নাকি সিবিআই এই তদন্ত তালিয়ে যাবে।এফআইআরে বলা হয়েছিল আইপিএলে গড়াপেট কাণ্ডে পাক যোগ রয়েছে। অভিযুক্তরা পাকিস্তানের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই চক্র চালাচ্ছেন। তথ্য প্রকাশ করে যে ব্যক্তিদের এই নেটওয়ার্ক ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচের সময় ক্রিকেট বাজির সাথে জড়িত ছিল।
এফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়, জড়িত ব্যক্তিরা ক্রিকেট বেটিংয়ের র্যা কেট চালাচ্ছেন, সাধারণ জনগণকে বেটিংয়ের প্ররোচনা দিয়ে প্রতারণা করছে এবং এর ফলে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ জনগণকে প্রতারিত করছে এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তাঁরা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় করছেন। যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রমাণই সিবিআই জোগাড় করতে পারেনি।