বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
ডিসেম্বর মাস যেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছে বিয়ের মরসুম। বর্তমান ভারতীয় দলের দুই মহাতারকাই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন বছরের শেষ মাসে। ২০১৭ সাএ ১১ ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বিরাট অনুষ্কা। তার দুই বছর আগে ২০১৫ সালে ১৩ ডিসেম্বর একসঙ্গে পথ চলা শুরু করেছিলেন রোহিত-রিতিকা।
দেখতে দেখতে ৮ বছরে পড়ল ভারত অধিনায়কের বিবাহিত জীবন। আজ অষ্টম বিবাহ বার্ষিকী রোহিত এবং রিতিকার। ২০১৫ সালের এই দিনেই মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে বসেছিল হাইপ্রোফাইল এই বিয়ের আসর। রোহিত-রিতিকারও আছে একটা মিষ্টি প্রেমের কাহিনী। প্রথমে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম সেখান থেকে বিবাহ। অষ্টম বিবাহ বার্ষিকীর দিনে ফিরে দেখা যাক কীভাবে হিটম্যানের মধুর প্রেমের কাহিনী।
প্রথম রোহিত শর্মা নয় বিরাট কোহলির স্পোর্টস ট্যালেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন রিতিকা। ২০১০ সালে আইপিএল টুর্নামেন্ট চলাকালীন বিরাট কোহলি এবং রিতিকা সাজদেহর যোগাযোগ হয়েছিল। একজন পেশাদার হিসেবে বিরাট কোহলির ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম ঋতিকাই দেখাশোনা করতেন।
এরপর কোহলির দায়িত্ব ছেড়ে রোহিত শর্মার ম্যানেজার হিসাবে নিযুক্ত হন রিতিকা। রোহিত শর্মা এবং রিতিকা সাজদেহর দেখা হয় যখন রিতিকা একজন স্পোর্টস ম্যানেজার ছিলেন যিনি ক্রিকেটারদের পরিচালনা করতেন এবং রোহিত শর্মাও তার তালিকার একটি অংশ ছিলেন। কিন্তু পেশাদার এই সম্পর্কের মাঝেই তাদের মধ্যে গড়ে উঠল প্রেমের সম্পর্কও।
রোহিত এবং রিতিকা কাজের জন্য অনেক সময় দেখা করতেন। এই সব সময়, তারা ভাল বন্ধু হয়ে ওঠে তাদের বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে এবং তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। কিন্ত কোনও অভিজাত হোটেল নয় রিতিকাকে প্রেমের প্রস্তাব রোহিত দিয়েছিলেন বোরিভালি স্পোর্টস ক্লাবে।যেখানে ছোটবেলায় ক্রিকেট শিখতে আসতেন আজকের ভারত অধিনায়ক। ১১ বছর বয়সে এই ক্লাবেই ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়েছিল রোহিতের। সেখানেই প্রিয়তমাকে মনের কথা বলেন রোহিত।
দীর্ঘ ছয় বছর তারা ডেট করেছে। ২০১৫ সালে বিবাহ করেন রোহিত ও রিতিকা।পেশাদার সম্পর্ক থেকেই রোহিত রিতিকার মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। ২০১৫ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর মেয়ে সামাইরার জন্ম হয়। দুই থেকে তিন হন শর্মা দম্পতি।
শুধু ব্যক্তিগত জীবন নয়, একইসঙ্গে রোহিতের দায়িত্ব বাড়ে ভারতীয় দলেও। সহ অধিনায়ক থেকে অধিনায়ক হন। ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক হিসাবেও নজর কেড়েছেন রোহিত শর্মা। দেশ বিদেশের মাঠে একাধিক সিরিজ জেতানোর পাশাপাশি এশিয়াকে কাপে দলকে চ্যা্ম্পিয়ন এবং বিশ্বকাপে রানার্স করেছেন।