বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার দর্পচূর্ণ। অধিনায়কত্বের ব্যাটন পেলেও বিদায়ী টেস্টটি মধুর হলো না ডিন এলগারের। দেড় দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র রেখে দেশে ফিরবে রোহিত শর্মার ভারত।
আজ দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস ১৭৬ রানে শেষ হওয়ায় ভারতের জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৭৯। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর ঝোড়গতিতে সেই রান তুলে ফেলল রোহিত শর্মার দল, ৩ উইকেট খুইয়েই।
কেপ টাউনে এই প্রথম কোনও টেস্ট জিতল ভারত। ১৯৯৭, ২০০৭, ২০১৮ ও ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারত টেস্ট হেরেছে নিউল্যান্ডসে। ১৯৯৩ সালে প্রথম এখানে টেস্ট খেলে ভারত। সেই টেস্টটি ড্র হয়েছিল। ২০১১ সালের টেস্টও ড্র রাখতে সক্ষম হয়েছিল ভারত।
১৯৯৭ সালে ২৮২ রান, ২০০৭ সালে ৫ উইকেট, ২০১৮ সালে ৭২ রান ও ২০২২ সালে ৭ উইকেটে পরাস্ত হয় প্রোটিয়াদের কাছে। ফলে আজ কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে টেস্ট জয় ভারতের কাছে ঐতিহাসিক তো বটেই। তবে আশা জাগিয়েও এদিন বড় রান পেলেন না যশস্বী জয়সওয়াল। হতাশ করলেন শুভমান গিল।
৭৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতের ওপেনিং জুটিতে ৫.৪ ওভারে ৪৪। নান্দ্রে বার্গারের শিকার হন যশস্বী। ৬টি চারের সাহায্যে তিনি ২৩ বলে ২৮ রান করেছেন। ভারতের দ্বিতীয় উইকেটটি পড়ে ৮.৩ ওভারে ৫৭ রানের মাথায়। ২টি চারের সাহায্যে ১১ বলে ১০ রান করা শুভমান গিল কাগিসো রাবাডার বলে বোল্ড হয়ে যান।
বিরাট কোহলি ১১ বলে ১২ রান করে মার্কো জানসেনের বলে কট বিহাইন্ড হন। ভারতের তৃতীয় উইকেটটি পড়ে ৭৫ রানে। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা রিভিউ নেয়। দেখা যায় বল বিরাটের গ্লাভসে লেগেছে। বিরাটের ইনিংসে রয়েছে ২টি চার।
১২ ওভারের শেষ বলে শ্রেয়স আইয়ার বাউন্ডারি মারতেই ভারতের ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। রোহিত শর্মা ২২ বলে ১৭ ও শ্রেয়স ৬ বলে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। রাবাডা, বার্গার ও জানসেন একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
প্রথম দিনে পড়েছিল ২৩ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানের জবাবে ভারত ১৫৩ রান করেছিল। এরপর দিনের শেষে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোর ছিল ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ৬২ রান। ৩৬.৫ ওভারে ১৭৬ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস।
১৭টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ১০৩ বলে ১০৬ রান করেন এইডেন মার্করাম। বাকিরা কেউ ১২ পেরোতে পারেননি। টেস্ট ক্রিকেটে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল। ১৩.৫ ওভারে ৬১ রান খরচ করে ছয় উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ। টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট এই নিয়ে নবমবার নিলেন তিনি। কপিল দেব ২৩ বার, জাহির খান ও ইশান্ত শর্মা ১১ বার করে ও জাভাগল শ্রীনাথ ১০ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন।
মুকেশ কুমারের ১০ ওভারে ২টি মেডেন, ৫৬ রান দিয়ে বাংলার পেসারের ঝুলিতে ২ উইকেট। মহম্মদ সিরাজ ৩টি মেডেন-সহ ৯ ওভারে ৩১ রান খরচ করে নেন ১টি উইকেট। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ১টি মেডেন-সহ ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১টি উইকেট পেয়েছেন।