বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
কেপটাউন টেস্টের প্রথম দিনই পড়েছে ২৩ উইকেট! এর মধ্যে মাত্র একটি রানআউট। বাকি ২২টি উইকেটই বোলাররা সংগ্রহ করেছেন। নিউল্যান্ডসে প্রথম দিনের নবাব অবশ্যই মহম্মদ সিরাজ। সেঞ্চুরিয়ানে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর কেপটাউনে দুরন্ত কামব্যাক। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বল হাতে ছয় নিয়ে সব সমালোচনার জবাব দিলেন সিরাজ। ম্যাচ শেষে প্রত্যাবর্তনের রহস্য ফাঁস করলেন হায়দরাবাদী পেসার।
কেপটাউনের প্রথম দিনের শেষে সিরাজ বলেন, শেষ ম্যাচে আমাদের বোলিং ইনিংস শেষ হলে বুঝতে পেরেছিলাম আমি বেশি রান দিয়েছিলাম। টেস্ট কেরিয়ারের জন্য আমি অনেক কিছু করেছি, সেই ম্যাচেই প্রথমবার যে আমি ২৪তম ওভারে মেডেন পাই। আমি আমার ভিডিও দেখিনি, কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছি যে আমি কি ভুল করেছি।’
একইসঙ্গে সিরাজ বলেন, এরপরই আমি নিজেকে বোঝাতে শুরু করি যে পরের ম্যাচে আমাকে কী করতে হবে। এ ধরনের উইকেটে যখন বল কথা বলছে, তখন অনেক বোলারই ভাবে বৈচিত্র দেখানোর কথা। লেগ থেকে অফে আউটসুইং করানো বা কোনাকুনি বল ঘোরানোর ভাবনা মাথায় আসতেই পারে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট লাইনে বল করে যাওয়া খুব দরকার।’
দিনের শেষ দুই দলের মোট ২৩ উইকেটে পড়েছে। প্রোটিয়ারা প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানেই অল আউট হয়ে যায়। এমনটা হবে আশা করেছিলেন? এৱ উত্তরে সিরাজ বলেন, না, এমন হবে ভাবিনি। সত্যি বলতে এই ফরম্যাটে বোলিং পার্টনারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এবং জসি ভাই(জসপ্রীত বুমরাহ) যখন বোলিং করতাম, তখন সে উইকেট হয়ত পায়নি, কিন্তু তাঁর বোলিং আরও চাপ তৈরি করছি।’
একইসঙ্গে সিরাজ বলেন, টেস্ট ক্রিকেট আমার কেরিয়ারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই ফর্ম্যাটে যতটা পারি খেলতে চাই। এরজন্য আরও বেশি ধারাবাহিক হতে হবে। হয়ত অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, কিন্তু এর জন্য আমি প্রস্তুত।
রোহিত শর্মা অধিনায়ক হলেও দলের সাহায্যে মাঝেমাঝেই এগিয়ে আসেন কোহলি। বুধবার সিরাজকেও বার বার কোহলির পরামর্শ নিতে দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে, প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার বলছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এখন ১০০ রানের অন্তত টার্গেট দেওয়া। আমাদের বোলাররা ছন্দে থাকলে এই রান নিয়েও জেতাতে পারে। আর এই পিচে সেটা সম্ভব। কেরিয়ারের শেষ টেস্টে এমন ব্যাটিং পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, ভাবনায় ছিল না। তবে কিছু পিচে এভাবে ঝুঁকতে হয়। টেস্ট ক্রিকেটে একটা পাগলামির দিনও বলা যায়। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েও আমার কোনও আক্ষেপ নেই।’