বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
দেশের ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের ৮৬ দশমিক ৮ শতাংশ শিশু স্কুলে পড়াশোনা করছে! কিন্তু ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের ২৫ শতাংশ পড়ুয়া দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনাটা নিজের আঞ্চলিক ভাষাতেও ভালো করে পড়তে পারে না। বুধবারই অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট অর্থাৎ ASER -এর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে।
আর সেখানেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, রিপোর্টে (ASER Report) আরও বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। যা রীতিমত উদ্বেগের বলছেন বিশ্লেষকরা।
ASER -এর রিপোর্ট (ASER Report) অনুযায়ী, ৪২.৭ শতাংশ পড়ুয়া ইংরেজিতে একটা বাক্যও পড়তে পারেন না। আর সেই সংখ্যাটা হল ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে। তবে রিপোর্ট বলছে ২০১৭ সালে, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী 76.6 শতাংশ শিশু দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যক্রম পড়তে পারেনি। তবে ২০২৩ সালে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আর এই সংখ্যাটি 73.6 শতাংশে কিছুটা নেমে এসেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, দেশের ২৬ টি রাজ্যের ২৮ টি জেলায় এই সমীক্ষা করা হয়। শুধু তাই নয়, ১,৬৬৪ টি গ্রামেও এই সমীক্ষা চালানো হয়। মুলত ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের পড়ুয়াদের নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়।
এই সমীক্ষায় ৩৪,৭৪৫ সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা অংশ নিয়েছিল। মুলত পাঁচটি বিষয়কে সামনে রেখে এই সমীক্ষা চালানো হয়। আর এই দীর্ঘ সমীক্ষায় কার্যত চমকে দেওয়ার মতো তথ্য (ASER Report) সামনে এসেছে। যা রীতিমত উদ্বেগের বলেই মনে করা হচ্ছে।
রিপোর্ট (ASER Report) বলছে, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে ৮৬.৮ শতাংশ পড়ুয়া স্কুল এবং কলেজে নাম লিখিয়েছে। কিন্তু স্কুল কিংবা কলেজে পড়ে না এমন ১৪ বছর বয়সী পড়ুয়াদের শতাংশ ৩.৯, ১৬ বছর বয়সের মধ্যে আছে ১০.৯ শতাংশ পড়ুয়া এবং ৩২.৬ শতাংশ পড়ুয়া রয়েছেন ১৮ বছরের মধ্যে। এমন অবস্থার জন্যে করোনাকে দায়ী করা হয়েছে সমীক্ষায়। দাবি, সেই সময় অনেকেই পড়াশোনার রাস্তা থেকে সরে আসে। মাঝপথেই থেমে যায় পড়াশোনা।
যদিও সরকারের নীতির জন্যে স্কুল ছুটের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বলে অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট অর্থাৎ ASER -এর রিপোর্টে উল্লেখ। তবে ২০১০ সালে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে 96.6 শতাংশ শিশু স্কুলে অধ্যয়নরত ছিল।
২০১৪ সালে ৯৬.৭ শতাংশ পড়ুয়া স্কুলে যেত, ২০১৮ সালে ৯৭.২ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৯৪.৪ শতাংশ শিশু শিক্ষা নিয়েছে। অন্যদিকে মোবাইলের ব্যবহার নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য (ASER Report) সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে ছেলেদের স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রবণতা অনেক বেশি। যেখানে মেয়েরা অনেকটাই পিছনে আছে বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে।