লিলুয়ার ভট্টনগরে স্থানীয় মানুষের পরিষেবা দেবার জন্যে রয়েছে সরকার স্বীকৃত রেশন দোকান। যার নাম FAIR PRICE SHOP যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর F.P.S 3615 এবং দোকানের মালিকের নাম প্রবীর সাহা।

যেখান থেকে নিত্যদিন গ্রাহকেরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিষ অর্থাৎ চাল, ডাল, গম নিয়ে যায় তাদের বৈধ রেশন কার্ড দেখিয়ে।

কিন্তু গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৯-১১-২০১৮ তারিখের সন্ধ্যেবেলায় জয়ন্ত ভট্টাচার্য নামে এক গ্রাহক তার প্রয়োজনীয় রেশনের চাল নিতে গেলে তাকে চাল দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু তার রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও সেখানে ওই নির্দিষ্ট দিনের তারিখ নথিভুক্ত না করে, রেশন কার্ডের জেরক্স এর মধ্যেই তারা পরের মাসের মানে ডিসেম্বরের ২ তারিখ দিয়ে দেন।

শুধু জয়ন্ত বাবু একা নয় বাকি সকল গ্রাহকদেরও দিতে থাকেন জেরক্স এর মধ্যেই ডিসেম্বর ২-১২-২০১৮ তারিখ। কিন্তু গ্রাহক জয়ন্ত ভট্টাচার্য এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন কারণ তার সাথে এই প্রতারণা করা হয়েছে বলে। কিন্তু শুক্রবার ওই ঘটনার পর শনিবার সকালে সেই একই ভুল দোকানের মালিক করতে থাকলে তাকে স্থানীয়রা বলে আপনি যে অন্যায় করছেন সেটাকি ঠিক ? তিনি কোনো উত্তর দেন না। পরে লোকাল পুলিশ স্টেশনে ফোন করা হলে পুলিশ এসে রেজিস্টার খাতা যেখানে কত খাদ্য সামগ্রিক গোডাউনে মজুত আছে এবং গ্রাহকদের খাদ্য সামগ্রিক কতটা কি দেওয়া হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখতে গেলে দেখে সেখানে কোনো এন্ট্রি গ্রাহকদের জন্য করা নেই। এছাড়াও আমাদের সাংবাদিকের জিজ্ঞাসায় দোকান মালিক প্রবীর বাবুর স্ত্রী ওই খাতা দেখতে চাননি। রেজিস্টার খাতা এন্ট্রি না করে তিনি অন্যায় করেছেন, কিন্তু এটাও স্বীকার করেন ওটা তাদের ভুল ছিল।

গ্রাহকদের অভিযোগ কোন রেশন কার্ডে কত খাদ্যশস্য পাওয়া দরকার জানতে চাইলে গালিগালাজ ও করা হয় গ্রাহকদের বলা হয় উপর মহল কিংবা পঞ্চায়েত কিছুই করতে পারবেন না। সবাই নাকি টাকা নেন এই একথা দোকান মালিক বলেন বলে অভিযোগ তাদের। সাধারণ মানুষ এই অভিযোগ ও করেন রেশনের খাদ্য সামগ্রীর ব্ল্যাকে কারচুপির কাজকর্ম চালাচ্ছেন উনি। একের পর এক গ্রাহক বলে নিত্যদিন ধরেই চলছে এইসব নোংরাম তারা একাধিক দিন রেশন পায়না।

কখনোই তারা এককিলোর বেশি চাল কিংবা ডাল পায় না, তাই এতদিন চুপ করে থেকেও আজ শনিবার অর্থাৎ ০১-১২-২০১৮ তারিখে রেশন দোকানে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দোকানের মালিকের সাথে ঝামেলা শুরু করে গোডাউন খোলার অভিযোগ করেন ।

তবে গোডাউন পুলিশি সহযোগিতায় খোলা হলেও সেখানে কোনো খাদ্য দ্রব্যের কানাকড়িও পাওয়া যায়নি। গ্রহকদের অভিযোগ ওই মাল তিনি রাতের অন্ধকারে সরিয়ে দিয়েছেন। গোটা ঘটনাটি ঘটে ভট্টনগর পঞ্চায়েতের এলাকার পঞ্চায়েতের সামনেই। আর ওই রেশন দোকান চাকপাড়া আনন্দনগর পঞ্চায়েতের আওতার মধ্যেই পরে। এবং এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে স্থানীয় গ্রাহকরা এটাই চায় দোষীদের যেন চরম শাস্তি দেওয়া হোক আর পরিষেবা সঠিক ভাবে দেওয়া হোক সকলকেই তাও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। আপনাদের এটাও জানিয়ে রাখি সাংবাদিকরা এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে তাকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করবার চেষ্টাও করা হয় তথা রাস্তার মধ্যেই টাকা দেবার কাজ সেরে নিতে চায় রেশন দোকানের মালিকের স্ত্রী। এবং শনিবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের বাড়ি পৌঁছে তাকে আবার প্রলোভন দেখায় দোকান মালিক আর মোবাইলে ফোন করেও বলেন ঘুষ দেবার কথা। এবং নিজের মুখেই স্বীকার করেন তাদের এই দুর্নীতির কথা, যে তিনি ভুল করেছেন। তবে একটা প্রশ্ন থেকেই গেলো আর কতদিন সাধারণ মানুষকে এই ভাবে ঠকতে হবে। আর কবেই বা প্রশাসন সজাগ হয়ে বিচার করবে ন্যায় অন্যায়ের, আর জনতা কে বিপদ মুক্ত করবে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ প্রশাসনের ও কিছু গাফিলতি আছে এই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা। তবে বর্তমানে লিলুয়া থানার পুলিশ দোকান মালিককে বলেন এক সপ্তাহের মধ্যেই যাতে সঠিক পদ্ধতি মনে কাজ শুরু করেন তিনি। এবং সরকার কর্তৃক তৈরি নিয়ম মেনেই যেন কাজ করেন ওই দোকানের মালিক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here