নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সোদপুর অমরাবতী এলাকায় হাওড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রামুয়া খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত খড়দহ থানার পুলিশ মৃতের স্ত্রী ও ছেলে ছাড়াও প্রশান্ত সিং, শ্যামসুন্দর রাও, বিশাল মেনন ও কার্তিক যাদব নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাদের মধ্যে মা ও ছেলের 10 দিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকি চারজনের 9 দিনের পুলিশি হেফাজত নিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে আজ রামুয়ার স্ত্রী কাজল ও ছেলে সমীর কে নিয়ে খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার পুনর্নির্মাণ নির্মাণ করে। এই পুনর্নির্মাণে মূল অভিযুক্ত কার্তিক যাদব ছাড়া বাকি 3 জনকেও নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ঘটনার দিন কিভাবে তারা খুনের ছক কষেছিল এবং রামুয়াকে খুন করেছিল তার সম্পূর্ণ ঘটনা ধৃতদের কাছ থেকে পুনর্নির্মাণ করে জানার চেষ্টা করে পুলিশ।
পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করে প্রথমে তারা কার্তিক যাদব এর কাছ থেকে 40 লক্ষ টাকার বিনিময় এই খুনের পরিকল্পনা করে। কারণ এই কার্তিকের সাথে রামু আর স্ত্রীর একটি অবৈধ সম্পর্ক ছিল সেই অবৈধ সম্পর্কের কাটা দাঁড়িয়েছিল রামুয়া। তাই তাদের এই পথের কাঁটা সরাতেই রামুয়াকে খুনের পরিকল্পনা করে।
বাবার কাজে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলে সমীর তাদের এই পরিকল্পনায় যোগ দেয়।তারপরে সমীর তার কলেজের বন্ধু প্রশান্ত সিংহের সাথে যোগাযোগ করে। প্রশান্ত সিং তার দুই বন্ধু শ্যামসুন্দর রাও ও বিশাল মেনন কে সঙ্গে নিয়ে খুনের পরিকল্পনা করে। প্রথমে তিনজন বিশাখাপত্তনম থেকে প্লেনে করে দমদমে আসে। সেখান থেকে ওলা গাড়ি ভাড়া করে অমরাবতী আসে। সেখানে এসে রামুয়ার ছেলে সমীরকে মোবাইলে মিসকল দেয়। তারপর সমীর নিচে নেমে এসে দরজা খুলে দেয় এবং বাবার বন্দুকটি আগে থেকে সরিয়ে রেখেছিল সেই বন্দুকটি তাদের হাতে তুলে দেয়। এছাড়াও বাড়ির ওপরে ওঠার আগে একটি আস্ত সঙ্গে নেয় তারা কারণ গুলি করে না মরলে ওই ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করার পরিকল্পনা করে তারা।
এরপর তারা পরিকল্পনামাফিক উপরের তলায় গিয়ে ঘরে ঢুকে রামুয়াকে মাথার খুব কাছ থেকে গুলি করে। প্রথম গুলিটি মিস ফায়ার হয়। দ্বিতীয় একটি গুলি করে পুরো মাথায় গুলি। এরপর আততায়ীরা সেখান থেকে চম্পট দেয়। আর যেই গুইলটি মিস ফায়ার হয়েছিল সেই গুলিটি সোদপুরে একটি জায়গায় রাস্তার ধারে ফেলে দেয়।তাদের কথামতো পুলিশ উদ্ধার করেছে সেই গুলি। সম্পূর্ণ ঘটনা পুলিশের সামনে তারা বর্ণনা করে দেখায়। পুলিশ এখন ঘটনার সত্যতা আরও যাচাই করে দেখছে।