বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

 

ইনসাফ চাই। মানুষের রক্তের, মানুষের ক্ষিদের, মানুষের উপর অপিচারের বিচার চাই। ব্রিগেডের মঞ্চে উঠেই আগুন ঝরালেন মীনাক্ষী। লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে নেত্রী বলেেছন, যে মাঠে খেলা হবে বলেছিল, সেই মাঠের দখল নিয়ে ছাড়ব।

ইনসাফের নাম ধারাবাহিক লড়াইয়ের। ইনসাফ চেয়ে মাঠে নেমেছি, পিছু হঠব না। ২৯০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে এসেছেন বামপন্থীরা। বড় মাঠে লড়াই হবে। লড়াইয়ের শর্ত বেঁধে দিয়েছেন মীনাক্ষী। তিিন বলেছেন লড়াইয়ের শর্ত হবে কাজ, রুটি-রুজি। বিরোধীদের নিশানা করে তিনি বলেছেন একটাকা চার আনার কিছু মস্তান ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নকল যুদ্ধ ছেড়ে আসল যুদ্ধে নামার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী।

একটা সময়ে যিনি বাবার সঙ্গে ব্রিগেডে আসতেন আজ তিনিই ব্রিগেডের মূল বক্তা। সেকথা স্মরণ করে মীনাক্ষী বলেছেন রাজনীতি করতে গেলে চোরের ঘরে জন্মাতে হবে এমন শিক্ষা পাইনি। তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিকেও একযোগে নিশানা করে মীনাক্ষী বলেছেন ধর্মের নামে রাজনীতি চলবে না। একটাই ধর্ম থাকবে মানব ধর্ম। সাধারণ মানুষের দায়বদ্ধতা থেকেই এই ইনসাফের লড়াই। এই লড়াই থামবে না।

যাঁরা প্রত্যাশা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপিকে ভোট িদয়েছিলেন তাঁরা এখন হা-হুতাশ করছেন। যদি মাথা উঁচু করে বাঁচতে হয় তাহলে লড়াইয়ের ময়দানে নামতেই হবে। বামপন্থাই একটি মাত্র শক্তি। যাঁরা ঘামের বিনিময়ে রোজগার করে তাঁদের হয়ে লড়াই করে। তাই বামপন্থার কোনও বিকল্প নেই। কাজের দাবিতে শিক্ষার দাবিতে গোটা দেশকে একজোটে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন মীনাক্ষী। এই লড়াই থেকে কোনও ভাবেই পিছু হঠবে না বামেরা।
এই ইনসাফের লড়াই কোনও ভাবেই থামবে না। এই লড়াই চলবে। দীর্ঘ সময় ধরে চলবে হুঙ্কার দিয়েছেন ক্যাপ্টেম মীনাক্ষী। কোনও ভাবেই তাঁরা লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালাবেন না। যুবাদের ডাকে এই ব্রিগেড সমাবেশ বাম আন্দোলনকে শক্তি যোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজয়া দশমীর দিন কোচবিহার থেকে ইনসাফ যাত্রা শুরু করেছিলেন। কাকদ্বীপে সেটা শেষ হয়। তারপরে এই ব্রেগেড সমাবেশের ডাক। আগেরদিন গিয়ে বুদ্ধবাবুর কাছে আশির্বাদ নিয়ে এসেছেন মীনাক্ষী।

বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর ইনসাফ যাত্রায় নেই নবীন প্রবীণের ভেদাভেদ। ইনসাফ যাত্রা এখনও শেষ হয়নি। এই ইনসাফ যাত্রা জারি থাকবে।কাজের অধিকার প্রত্যেকটি মানুষকে দিতে হবে। এমন শপথ নিয়েই এগোবে এই ইনসাফ যাত্রা। বাম কর্মীসমর্থকদের এককথায় লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *