বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
‘বিজেপির দেখানো পথে’ আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সামাজিক মাধ্যমকেই ‘হাতিয়ার’ করতে চলেছে তৃণমূল। বাঁকুড়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে ‘জেলা তৃণমূলের ‘ডিজিটাল মহা অভিযান’ কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠানে ওই দলের তরফে এমনই কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিক চিত্রাভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, জেলা তৃণমূল সভাপতি বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী, বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, বাঁকুড়া পুরসভার পুর প্রধান অলকা সেন মজুমদার, জেলা ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠনের সভাপতি সহ অন্যরা।
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলার প্রতিটি বুথে দলের তরফে একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হবে। ওই গ্রুপে শুধু তৃণমূল সমর্থকরা না, রাখতে হবে গ্রাম ষোলো আনার প্রধান, ক্লাবের সম্পাদক, এলাকার বিশিষ্টজন, সাধারণ মানুষ সহ অন্তত ১৫০ জন থেকে ২৫০ জনকে। শুধু তৈরি করেই দায়িত্ব শেষ নয়, সরকারের সাফল্যের কথা নিয়মিতভাবে ওই গ্রুপে শেয়ার করতে হবে। এই কাজের তদারকির জন্য প্রতিটি অঞ্চলে একজন করে অঞ্চল পিওসি নিয়োগ করা হবে। তার মাধ্যমেই স্বেচ্ছাসেবকদের হাত ধরে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হবে। অঞ্চল পিওসি-র কাজের তদারকি করবেন ব্লক পিওসি।
ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহবাবু বলেন, বিগত দিনে বিজেপি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে সাফল্য অর্জন করেছিল। একথা যখন তৃণমূল স্বীকার করে, তখন আমাদের এতো স্বেচ্ছাসেবক থাকা সত্বেও তা কেন ব্যবহার করা হবে না? আর এই কাজে সাফল্য পেতে গেলে দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনকে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি, বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গতবার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিজেপি একতরফা প্রচার করে গেছে। সরকারি প্রকল্পের প্রচারের পাশাপাশি আমাদের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচারে’র জবাবও এই মাধ্যমে দেওয়া হবে। ডিজিট্যাল প্রচার কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ব্লক, অঞ্চল থেকে বুথস্তরীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি হবে বলে তিনি জানান।
তৃণমূল তাদের অনুকরণ করছে, দাবি বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দলের প্রশিক্ষিত লোকেরা ডিজিটাল প্রচারের দায়িত্বে রয়েছে। এতো সব করেও আদৌ তৃণমূলের কোন লাভ হবে না এসব করলে সাধারণ মানুষ হাতে অস্ত্র পাবেন, তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে মানুষই প্রশ্ন করবেন। আর এই বিষয়টি বুমেরাং হয়ে তৃণমূলের দিকেই ফিরে যাবে বলে তিনি দাবি করেন।