নিজস্ব প্রতিনিধি: জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে মোট ১০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী আনা হবে রাজ্যে। তাদের ছড়িয়ে দেওয়া হবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার লক্ষ্যেই ভোটের অনেকটা সময় আগে আনা হচ্ছে বাহিনী।
ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। হাতে আর মাত্র এক মাস। ১১ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। শেষ নির্বাচন ১৯ মে। তবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই রাজ্য জুড়ে ভোটের হাওয়া।
দেওয়াল লিখন, মিটিং-মিছিল-রাজনৈতিক দলগুলির সভা চলছে পুরোদমে। এরই মাঝে শুক্রবার রাজ্যে আসছে এক কোম্পানী আধা সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবারই কলকাতা পুলিশের একটি দল উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
সেখান থেকে ১ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী নিয়ে সড়ক পথে শহরে ফিরবে তারা। জানা গিয়েছে, আপাতত বিএসএফ জওয়ানদের রাখা হবে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। নির্বাচন কমিশনের তরফে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত শহরেই থাকবে বাহিনী। সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করবে এই জওয়ানরা।
প্রথমে বন্দর এলাকায় রুটমার্চ করবে আধা সামরিক বাহিনী। এরপর শহরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে রুটমার্চ করবে বাহিনী। তাদের সঙ্গে থাকবে কলকাতা পুলিশের কর্মীরাও। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী শহরের বিভিন্ন এলাকায় চলবে টহলদারি।
ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে গোটা রাজ্যকে অতি স্পর্শকাতর ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। তাদের অভিযোগ, রাজ্যে নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি নেই। পাশাপাশি, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, শাসক দল সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।
এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে, মাসখানেক আগেই বাহিনী এসে পৌঁছাচ্ছে রাজ্যে। কমিশন সূত্রের খবর, অশান্তি এড়াতে এবং ভোটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই আগেভাগে শহরে বাহিনী আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজই শহরে আসছে এক কোম্পানী আধা সামরিক বাহিনী। আপাতত শহরের বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ করবে বাহিনী। লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে মোট ১০ কোম্পানি আধা সেন পাঠান হচ্ছে।