নিজস্ব সংবাদদাতা : তিনি মক্কেলের কাছে টাকা পাননি তাই মক্কেলের জামিনের বিরোধিতা করেন। কিন্তু আদালত জামিন দেওয়ায় মাথা গরম হয়ে যায় তাঁর । এরপরই মান্যবর সরকারি আইনজীবী মশাই মারধর শুরু করেন বাবার বয়সী ওই মক্কেলকে ।
শুক্রবার কাঁথির মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে একের পর এক চড়-থাপ্পড় মারছেন কালো কোট পরিহিত বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। বৃদ্ধের জামার কলার ধরে রীতিমতো টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই গ্রাউন পরা ব্যক্তিটি।
সে সময় পিছনে থাকা আরও এক ব্যক্তিকেও মারধর করতে দেখা যায় ওই বৃদ্ধকে। চড়-থাপ্পড় মারার পর ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আগে টাকা ফেল। আগে এডভান্স টাকা ফেল। আমি কী আর এমনি বেরিয়ে এলাম। তুলে রেখে দিয়ে আসব জেলে। আবার কাল বেরিয়ে আসবি।আবার ঢুকিয়ে দিয়ে আসব।’
বৃদ্ধকে বারবার বলতে শোনা যায় টাকা না থাকার কথা। তাঁর পকেটে হাত ঢুকিয়ে টাকা বের করারও চেষ্টা করা হয়। শুক্রবার দুপুরের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে মাত্র ৪৮ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শোরগোল পড়ে যায় কাঁথি জুড়ে।
জানা গেছে, ভিডিও-তে কালো কোট পরা ব্যক্তিটি কাঁথি মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় মিশ্র। তাঁর সঙ্গে যিনি সহযোগিতা করছিলেন তিনি তাঁর আর এক মক্কেল অধীর বেরা। এঁরা দুজনেই কাঁথির বাসিন্দা। আর যে বৃদ্ধকে মারধর করা হচ্ছিল তিনি ভগবানপুরের ভৈরবীচকের বাসিন্দা।নাম শ্রীকান্ত মাঝি।