নিজস্ব প্রতিনিধি :নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে আজ শুরু হল শিশুদের উপর যৌন নিপীড়নের বিষয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভা।
এমন আলোচনা সভা প্রথম শুরু হল কলকাতায়। পশ্চিমবঙ্গের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন এবং ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশনের উদ্যোগে কলকাতায় শুরু হল’ ডিজিটাল যুগে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন’ বিষয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক এই আলোচনা চক্র।
অত্যন্ত উচ্চমানের এই দুই দিনের(14-15 ডিসেম্বর) আলোচনা চক্রের প্রথম দিনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার এস এইচ আর সি চেয়ারপারসন বিচারপতি গিরিশ চন্দ্র গুপ্ত, আই পি এস সুরজিৎ পুরকায়স্থ, এসারের চেয়ারপারসন অনন্যা চক্রবর্তী, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আইপিএস জ্ঞান বনত সিং, সিআইডি আইপিএস অজয় রানাডে সহ আরো অনেকে।
এই আলোচনাচক্রে ভারত ছাড়াও জার্মানি, কেনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা সহ প্রায় 15 টি দেশের বিচার মন্ডলিরা ও শীর্ষস্থানীয় বহু জাতিক কর্পোরেটের প্রতিনিধিরা এই আলোচনা চক্রে অংশ নেন।
এই আলোচনা চক্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন রাজ্যের শিশু অধিকার ও যে সব শিশু বেশি অবহিত নিপীড়িত তাদের নানা কাজে জোর করা। মানুষের পাচার এর হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করা। দিনে দিনে যে ভাবে শিশু পাচার ও শিশুশ্রম বেড়ে উঠছে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা ও বিভিন্ন চক্রগুলোকে লক্ষ্য নজর করা এই সেমিনারে মূলত চারটি বিষয় আলোচনা করা হয়।
প্রথমত শিশু সুরক্ষা প্রযুক্তির নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য। ২-প্রযুক্তি গুলির মোকাবিলায় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যেসব নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে এগুলো। 3- এগুলোর প্রতিরোধ গৃহীত ব্যবস্থাগুলি যাতে কার্যকর ভাবে এক জায়গায় এসে মেলে এবং বিভিন্ন ধারায় কাজের মধ্যে যাতে সংযোগ গড়ে ওঠে তার প্রয়োজনীয় তার দিকে নজর দেওয়া এই প্রয়াসকে কার্যকর করে প্রতিষ্ঠা করা। 4 -এই অপরাধ মোকাবিলায় কার্যকরী সমাধান উপায় খুঁজে বার করা এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেকশন পুলিশ বিচার ব্যবস্থা এবং যারা শিশুদের অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা করবেন। ক্রমশ বেড়ে ওঠা অপরাধকারীদের চক্রান্ত বাধা দিতে গিয়ে যে সমস্ত বাধা সৃষ্টি হওয়া সেই বাঁধাগুলো কে চিহ্নিত করা।
আইনের ফাঁকফোকর গুলোকে চিহ্নিত করা। আইন সংরক্ষণ করা, বিশ্লেষণ করা আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া, যৌন অপরাধ যারা শিকার হয় তাদের মনস্তাত্ত্বিক পুনর্বাসন, অনলাইনে যৌন নির্যাতনের সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখা এবং এই বিষয়ে মিডিয়াদের বা সংবাদ মাধ্যমের অনেকটা দায়িত্ব থেকে থাকে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়।