বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::২০দিন হাসপাতলে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষে চলে গেল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা।
প্রবল মানসিক শক্তি নিয়ে সে লড়াইয়ে নেমেছিল।প্রথমে ব্রেন স্ট্রোক নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।একবার অপারেশন করে মাথার এক পাশের জমাট রক্ত চিকিৎসকেরা বের করেন।কিন্তু পরে দ্বিতীয়বার আবার মাথার অন্য পাশে রক্ত জমে।সেখানে আর অপারেশন সম্ভব নয়।ওষুধ দিয়েই চিকিৎসা চলছিল।এর মধ্যেই একাধিকবার হার্ট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পরে জীবনাবসান ঘটে ঐন্দ্রিলার।ঐন্দ্রিলার প্রেমিক ও বন্ধু সব্যসাচী বেশ কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে রাত জেগে চলছিল।সকলের কাছে অনুরোধ করেছিল ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করতে।কিন্তু শনিবার একাধিকবার ঐন্দ্রিলার হার্ট এট্যাক হওয়ার পরে সব্যসাচী খুব ভেঙে পড়ে ওর ফেসবুক থেকে ঐন্দ্রিলার সমস্ত পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছিল।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, শনিবার রাতে ঐন্দ্রিলা ১০ বার মাইল্ড হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকরা সবরকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অভিনেত্রীকে আর বাঁচিয়ে রাখা গেল না। জানা গিয়েছে, ঐন্দ্রিলাকে রিভাইভ করা সম্ভব হলেও তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, চিকিৎসকেরা সবসময়ই তাঁর কাছাকাছি থাকতেন। গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিল অভিনেত্রী। মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচার করা হলেও আর ঘুম ভাঙেনি অভিনেত্রীর। কয়েকদিন আগেই ঐন্দ্রিলা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর ফের শনিবার রাতে একাধিকবার ওর মাইল্ড কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল।
পুরোপুরি ভেন্টিলেশনে ছিল অভিনেত্রী। কিছুদিন আগেও অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছিল। চিকিৎসকদের মতে, ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রাখা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ঐন্দ্রিলার প্রেমিক সব্যসাচীর ফেসবুক পোস্ট থেকে অভিনেত্রীর সুস্থ হয়ে ওঠার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকেই ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আশঙ্কা ক্রমেই দানা বাধতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০১৫ সালে অভিনেত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সেই সময় দিল্লিতে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিল ঐন্দ্রিলা। ক্যানসারকে জয় করে ফিরে আসে এবং শুরু করে টেলিভিশন জগতে কাজ। একাধিক হিট মেগায় ঐন্দ্রিলা অভিনয় করেছিল। একই সঙ্গে ও ছিল নৃত্যশিল্পী। ২০২১ সালে তাঁর ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে। আরও একবার লড়াই শুরু করে ঐন্দ্রিলা। তবে পাশে পেয়েছিলেন বন্ধু সব্যসাচীকে। কিন্তু, ব্রেন স্ট্রোকের পর থেকেই ওর শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। ঐন্দ্রিলা শর্মার আরোগ্য কামনায় করেছিলেন গোটা বাংলা সহ টলিউড ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি।
ঐন্দ্রিলার এই লড়াই সকলকে আশা জুগিয়েছিলো।কিন্তু ঐন্দ্রিলার এই যুদ্ধে জয় হলো না। সমস্ত আশা ও আশঙ্কা সরিয়ে দিয়ে ঐন্দ্রিলা আমাদের ছেড়ে চলে গেল।অবসান ঘটলো একটা দীর্ঘ লড়াইয়ের।
ঐন্দ্রিলা যেখানেই থাকুক,শান্তিতে থাকুক।