বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::ফের দেশে তরতরিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বেশ কয়েকদিন ধরেই বেড়েই চলেছে করোনা গ্রাফ। ভারতে দৈনিক করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৫ জন। চলতি বছরে দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে এটাই সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫ হাজার ২০৮ জন। এইচথ্রিএনটু (H3N2) ভাইরাস দেশে দাপট দেখাচ্ছে। যার কারণে ক্রমশ বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
বুধবার ২ হাজার ১৫১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। অ্যাক্টিভ কেসের হার ছিল ০.০৩ শতাংশ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৯৮.৭৮ শতাংশ। একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯০ জন। মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭১১ জন।
ভারতে হুহু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হওয়ার সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে গোয়া ও গুজরাত। জানা গিয়েছে, গোয়া ও গুজরাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুইজন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানী দিল্লিতে ২৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যেখানে ইতিবাচকতার হার দাঁড়িয়েছে ১২.৪৮ শতাংশ। আজ সেখানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ জন। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দু’জন মারা গেছেন। ইতিবাচকতার হারও ঊর্ধ্বমুখী, ১৩.৮৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
শুক্রবার রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উত্তরপ্রদেশে ক্রমশ বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানকার ফ্রন্টলাইন কর্মী , সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া নজরে রাখা হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরীক্ষা আরও বাড়াতে বলছেন। শরীর খারাপ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন।
বৃহস্পতিবার, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যার পরেই তিনি জানিয়েছেন, কেজরিওয়াল করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করবেন।
এইচথ্রিএনটু (H3N2) ভাইরাসে যে সকল ব্যক্তি আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের বেশিরভাগ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। বারবার জ্বর আসা, সর্দি হওয়া, প্রতি নিয়তই হাঁচি হওয়া এগুলি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।