বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের একবার নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৯ বিরোধী নেতানেত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। এদিন সেই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের নয় বিরোধী নেতানেত্রী চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ যেমন ছিল, ঠিক তেমনই অভিযুক্ত হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর নামও উল্লেখ করা হয়েছিল। এর পাল্টা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী সারদা কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্ত থাকার অভিযোগ করে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এদিন ফের সেই বিষয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিরোধী দলনেতা। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে সই করেছিলেন, এদিন শুভেন্দু অধিকারী সবাইকেই নিশানা করেন। তিনি বলেছেন, এরা সবাই পরিবারবাদে অভিযুক্ত আর রাজনীতিকে কার্যত ব্যবসায় পরিণত করেছেন। সবকটি দলেরই একাধিক নেতা জেল খেটেছেন কিংবা চার্জশিটে তাঁদের নাম রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ এইসব দলের নেতানেত্রীরা আতঙ্কে ভুগছেন বলেও মনে করেন তিনি।
তৃণমূল একবছরে ৫৩৮ কোটি টাকা নির্বাচনী বণ্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে এবং ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় ধনী দলে পরিণত হয়েছে। এখন না লিখলেও একটা সময় সততার প্রতীক বলে দাবি করা তৃণমূলের উচিত কারা এই টাকা দিয়েছে তার তালিকা প্রকাশ করা। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন, গোয়ায় তৃণমূল ৪৭ কোটি টাকা খরচ করেছে আর ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে যে টাকা খরচ করেছে তার উৎসই বা কী? দুর্নীতিতে যুক্ত নয়, এই দাবি না করে, তাদের উচিত উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই করা, তৃণমূলের উদ্দেশে বলেন তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেমন মোদীজির লড়াই চলবে, ঠিক অন্যদিকে বিচার ব্যবস্থার কাজেও তারা হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন, তাকে সমর্থন করছে বিজেপি, বলেছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করে বলেছেন, ধর্মঘট ভাঙতে তৃণমূল ইতিমধ্যেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভয় দেখাতে গুণ্ডাদের পথে নামিয়েছে। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি ধর্মঘটীদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও যদি কোনও ধর্মঘটী সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে তিনি তাঁদের রপাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা এদিন বলেছেন, দিল্লিতে মোদীর কোনও বিকল্প নেই। এবারের উত্তর-পূর্বে ভোটে তা প্রমাণিত হয়েছে। অসমে আগে থেকেই তাদের সরকার ছিল। আর নাগাল্যান্ডে বিজেপি নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে। ত্রিপুরায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে সরকার গঠন করেছে। আর মেঘালয়ে ভোটের পরে যে সরকার গঠন হয়েছে, তা এনডিএ-র সহযোগী বলে জানিয়েছেন তিনি।