বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত।
ক্ষতি হচ্ছে শিশুদের। বহু শিশু মারা যাচ্ছে। কিন্তু সেই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে কিছুই জানায়নি রাজ্য সরকার। এদিন এমনটাই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। দুর্নীতিতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী সবাই জড়িত, অভিযোগ করেছেন অধীর চৌধুরী।
রাজ্যে শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনোর সংক্রমণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কিছুই জানায়নি রাজ্য সরকার। এদিন এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়ার সঙ্গে তিনি এদিন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে এই রোগের সংক্রমণ নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, শুধু চোর দেখলে হবে না, বাচ্চা-শিশু সবার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সতর্কতা কিংবা মানুষকে বোঝানো, কোনও কিছু নিয়েই কোনও ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গ সরকার গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, বহরমপুর পুরসভার কাসিমবাজার এলাকায় আবর্জনা জমা গয়ে মানুষের জীবনযাপন বিপন্ন হয়ে উঠেছে। আবর্জনার স্তূপ সরানোর জন্য রাজ্য সরকারকে জানিয়ে কোনও কাজ না হলেও, কেন্দ্রীয় সরকারের গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের টাকায় একটি সংস্থাকে আবর্জনা পরিষ্কার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ তৃণমূলের নেতারা, প্রতিদিন সেই সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে টাকার দাবি করছে। তাঁর প্রশ্ন, যদি আবর্জনার স্তূপ সরানোর জন্য যদি ঘুষ দিয়ে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন।
২০১৪ সালে অনুব্রত মণ্ডল আটদিনে ৬ কোটির সম্পত্তি কিনে ছিলেন। যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরী বলেন, এটা চিনে বাদামের দাম হয়ে গিয়েছে। শুধু ছয় কোটি টাকা উদ্ধার নয়, এখানে ৬০০ কোটি টাকা উদ্ধারের ব্যাপার রয়েছে। সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রী সবাই জড়িত। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, আলিবাব চল্লিশ চোরে মতো সবাই চোর। চিনি বলেন, যে চুরি হয়েছে, তা যদি ধরা হয়, তাহলে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে এই তথ্য হাতির পেটে এলাচের দানার মতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে বোমার আঘাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে যে গণ্ডগোল, তাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী জড়িত বলেও অভিযোগ। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূলকে কেউ মারবে না। তৃণমূল নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে মরবে, ঠিক যেমন সাপ খেলায় সাপুড়ের মৃত্যু হয় সাপের ছোবলে। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রাজতৈকি ভবিষ্যত এভাবে সাপের খেলা করতে গিয়ে সাপুড়ে খেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। এত বেশি দুর্বৃত্তদের নিয়ে তিনি চলাফেরা করছেন যে, তাদেরকে আর বোতলে ঢোকানো যাচ্ছে না। এরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবিষ্যতকে নষ্ট করবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।