বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ সাফল্য আশা করছে তৃণমূল।

 

ইতিমধ্যে তৃণমূল তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে প্রায় পশ্চিমবঙ্গের মডেল তুলে ধরেছেন। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে পা রাখার আগের দিন ত্রিপুরায় দলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে বাংলার মতোই ‘সুবজসাথী’, স্টুডেন্ট্স ক্রেডিট কার্ডে’র কথা বলল তৃণমূল। চাকরি হারানো ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষককে আর্থিক সহায়তা, বর্ষীয়ান নাগরিকদের জন্য দুয়ারে দু’হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ইস্তাহার প্রকাশ করতে গিয়ে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, ‘‘বাংলার মডেল সফল। সুযোগ পেলে ত্রিপুরাতেও আমরা কাজ করে দেখাব।’’ যদিও নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ত্রিপুরায় শাসনভার নেওয়ার মতো অবস্থায় তৃণমূল এখনো নেই।

আজ মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় পৌঁছে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে প্রথমে পুজো দেবেন। মঙ্গলবার তাঁর আগরতলায় রোড-শো করার কথা। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে শুরু করে শহর পরিক্রমা করে এসে আবার সেখানেই ফিরে সভা করতে পারেন তিনি।

মমতার কর্মসূচির জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। তার আগে রবিবার আগরতলায় ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলার দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজা, সাংসদ সুস্মিতা দেব উপস্থিত ছিলেন। মাতৃ-বিয়োগের ধাক্কা সামলেও ত্রিপুরায় তৃণমূলের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তাহার প্রকাশ করে ব্রাত্য বসু বলেন,
“আমাদের ইস্তাহারে ত্রিপুরার জন্য মানানসই করে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এই রাজ্যের বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সঠিক ভাবে রূপায়িত করতে পারেনি। কারণ, তারা স্বৈরাচারী সরকার। ক্ষমতায় এসে তারা কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারেনি।’’ তিনি আরো বলেন,বিজেপি উচ্চবিত্ত মানুষের সরকার। কিন্তু তৃণমূল মা-মাটি-মানুষের সরকার। তাই দরিদ্র মধ্যবিত্ত মানুষেরা তৃণমূলের পক্ষেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here