বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে সিরিয়া ও তুরস্ক।

 

 

সেখানে ৭.৮ মাত্রা ভূমিকম্পের পরে বেশ কয়েকটি আফটার শক হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বহুতলগুলি কাঁপছে। কোনও কোনওটিকে ভেঙেও পড়তে দেখা গিয়েছে। সাধারণ মানুষ হুড়োগুড়ি শুরু করে দিয়েছেন, ফাঁকা জায়গায় যেতে।

তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এদিন সেখানে ১০ কিমি গভীরতায় ৭.৮ মাত্রা ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেখানকার সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে। একটি প্রতিবেদন অনুসারে ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ থেকে প্রায় ৩০ কিমি পশ্চিম উত্তর-পশ্চিমে এবং সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে প্রায় ১১৪ কিমি উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সেই সময় ঘরের মধ্যে থাকা বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

মধ্য তুরস্কে শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়েছে। প্রথম ভূমিকম্পের ১১ মিনিট পরে ৬.৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়। যেটির উৎপত্তিস্থল ছিল ৯.৯ কিমি গভীরে। ক্যামেরায় যেসব ভিডিও ধরা পড়েছে সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে ভূমিকম্পের সময় বহুতলগুলি কাঁপছে। শপিং মলের জিনিসপত্রও মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।

তুরস্কে ভূমিকম্পের পরে বহু এলাকা ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। লাফিয়ে বাড়তে মৃত ও আহতের সংখ্যা। সকালেই তুরস্কে মৃত্যুর সংখ্যা ১০০-র কাছে পৌঁছে গিয়েছে। কেননা ভূমিকম্প সেখানে দিয়ারবাকি-সহ ১০ টি শহরে আঘাত করেছে। অন্যদিকে সিরিয়াতেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে আগামী কয়েক ঘন্টায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। ধ্বংসস্তূপের নিচে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারে উদ্ধারকারী দল কাজ চালাচ্ছে।

ভূমিকম্পের সময় বহু মানুষ ছিলেন বিমানবন্দরগুলিতে। সেখান থেকে তাঁদের ছুটে বেরোতে দেখা গিয়েছে। লেবানন এবং সাইপ্রাসেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে তুরস্কের অবস্থান অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায়। ১৯৯৯ সালে দেশের উত্তর-পশ্চিমে হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here