বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মঞ্চে এবার প্রধান চরিত্র কুন্তল,শান্তনু,তাপস।
সেই কুন্তলের সঙ্গে রাজ্যযুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে নিয়ে একটি অশালীন মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেই নিয়েই সায়নী একটি আইনী চিঠি পাঠিয়েছেন সাংসদকে। তিনি লিখেছেন, যদি সাংসদ সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানী মামলা করবেন সায়নী। যদিও বিজেপি সাংসদ অবশ্য এতে দমে যাওয়ার পাত্র নন। তিনি ক্ষমা চাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। দরকারে তিনিও আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান,তিনি আদালতে বিষয়টি বুঝে নেবেন।
বিজেপি সাংসদ বলেছিলেন, কুন্তলের সঙ্গে সায়নীর রাজনীতিক সম্পর্কের বাইরে ব্যক্তিগত একটি সম্পর্ক আছে। স্বাভাবিক কারণেই এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সায়নী। বিজেপি সাংসদ দাবি করেছেন, এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেন, সায়নী ঘোষ এবং কুন্তল ঘোষ শুধুমাত্র রাজনৈতিক সহকর্মী নন। তাঁদের দু’জনের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কও রয়েছে। তদন্ত করলে সেই তথ্য সামনে আসবে বলেও দাবি করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে যুবনেতা কুন্তল অন্তত ৩০ কোটি টাকা নিয়োগ দুর্নীতি করে নিয়েছে।ইতিমধ্যে তার ব্যাংক একাউন্টে ৬ কোটি টাকা জমা হওয়া ও উইথড্রল হওয়ার নথি ইডির হাতে এসেছে। এছাড়াও ইডি সূত্রে জানা গেছে, বিনোদন জগতেও কুন্তল বিস্তর টাকা বিনিয়োগ করেছে। উল্টো দিকে কোনো এক অভিনেত্রী তথা জনৈক তৃণমূল যুবনেত্রী দক্ষিণ কোলকাতায় তিনটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পেয়েছেন বা কিনেছেন। সেই সূত্রেই হয়তো সৌমিত্র খাঁনের ওই অশালীন বিবৃতি। এখন দেখার সায়নী পরবর্তী কোন পদক্ষেপ নেন।