বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির ঘরে ভাঙন।

 

বিজেপির আলিপুর দুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল রবিবার যোগ দিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে।আজ অভিষেক ব্যানার্জীর কমাক স্ট্রিটের অফিসে আসেন সুমন কাঞ্জিলাল। দীর্ঘদিন ধরেই সুমনের দলবদলের চর্চা চলছিল। অবশেষে রবিবার তিনি ফুল বদল করলেন বলেই টুইট করে জানানো হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। খবরে প্রকাশ উত্তরবঙ্গের অন্তত আরো তিনজন বিধায়ক অচিরেই বিজেপিতে আসছেন। সুমনবাবু বিধানসভায় বিজেপির ভাল বক্তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে নাম রয়েছে। সেই সুমন রবিবার কলকাতায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে এসে যোগদান করেন বলে জানা গিয়েছে। এই যোগদান নিয়ে এখনও সুমন কাঞ্জিলাল জানিয়েছন, আসল কথা মানুষের জন্য কাজ করা। তা আমি পারছিলাম না বিজেপিতে থেকে। আমি কয়েকটি বিষয়ে কাজের দাবি নিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলাম। উনি আমার দাবি মতো সমস্ত কাজের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই যোগদান যে বিজেপির অন্দরে বড় ধাক্কা, তেমনটাই বলছেন রাজনীতির কারবারিরা। মাস দেড়েক আগে যখন একের পর এক ‘ডেডলাইন’ দিচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘দরজা খোলা’র কথা। বলেছিলেন “দরজা খুললে বিজেপি দলটাই আর থাকবে না।”

গত কয়েকদিন ধরেই এই দলবদল নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের অন্দরে কথা হচ্ছিল। অবশেষে উত্তর বঙ্গে বড়ো ধাক্কা খেলো বিজেপি।
বিধানসভায় অত্যন্ত সুবক্তা হিসাবে নাম রয়েছে সুমন কাঞ্জিলালের। গত নভেম্বর মাসে হওয়া শেষ বিধানসভা অধিবেশনে শিল্প সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন সুমন তাঁর ধারাল বক্তব্যের জোরে।এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র সমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মানুষের স্বার্থে কাজ’ আসল কথা নয়,আসল কথা হলো ওখান থেকে কোনো সুযোগ পেয়েছে সুমন কাঞ্জিলাল।সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী
বলেন, আদর্শহীন রাজনীতিতে দল কখনো বড়ো হয় না। নিজের স্বার্থ বড়ো হয়। হয়তো ওখান থেকে কোনো অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছেন। ওদের কাছে দল পাল্টানো আর জামা পাল্টানো সমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here