বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এখন বিজেপি-সিপিএমের কথা ভাবতে হচ্ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণই সম্পাদককে।
যেতে হচ্ছে গ্রামের বুথ বুথে। কেন ‘১০০ শতাংশ’ উন্নয়নের কাজ করেও তৃণমূলকে ছুটতে হচ্ছে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে, তার জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রবিবার সকালে সুভাষ সরোবরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে এক হাত নেন বিভিন্ন ইস্যুতে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শকে তিনি কটাক্ষ করেন। স্মৃতি ইরানির টাকা খরচ করত না পারার অভিযোগ থেকে বাসন্তীর বোমা বিস্ফোরণ নিয়েও তিনি মুখ খোলেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেশপুরের সভা থেকে বলেছিলেন, আমাকে এক ডাকে অভিষেকে ফোন করবেন, বিরোধীদের বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, এরকম বড় বড় ডায়লগ আগেও শুনেছি আমরা। আগে নিজেকে সামলান, নিজেদের কর্মীদের সামলান।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ওনাকে কেন নামতে হয়েছে মাঠে। ওনাকে কেন এখন বুথে গিয়ে বলতে হচ্ছে। তার জবাব দিতে হচ্ছে। আসলে ওরা যা লুট করেছে, মানুষকে জবাব দিতে পারছে না। তাই ওনাকে বুথে গিয়ে বলতে হচ্ছে। বলতে হচ্ছে- জমির পাট্টা দেবো। তাহলে কেন দশ বছর দেননি, প্রশ্ন তোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, আগেই দেওয়া উচিত ছিল।
দিলীপ ঘোষ বলেন, কোন মুখে ওনারা বড় বড় কথা বলেন। জমিদারের টাকা নাকি, নিজেরা ঝেড়ে নিচ্ছেন, লোকদের খাওয়াচ্ছেন। এদিকে ডিএ দিচ্ছেন না, পেনশন দিচ্ছেন না, চাকরি দিচ্ছেন না। কিছুই দেবেন না ওনারা। এমনকী প্রকল্পের টাকাও লোকেরা পাচ্ছেন না, সব খেয়ে নিচ্ছেন। তাই জবাব দিতে হচ্ছে ওনাদের।
দিলীপ ঘোষ বলেন, টাকা দেওয়া আছে বলেই হিসেব চাইছেন। হিসাব দিন আগে। টাকাও নেবেন আবার চোখও রাঙাবেন, তা হবে না। ২ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকার হিসেব নেই। এদিকে আবার কেন্দ্রীয় নারী কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি অভিযোগ করেছেন, টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে, টাকা ব্যাবহার করা হচ্ছে না।
স্মৃতি ইরানি বলেন, আড়াই হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। সেই টাকা ব্যবহার করতে পারেনি রাজ্য। রাজ্যের কোন পরিকল্পনাই নেই। হয়তো কাটমানি ছাড়া দেওয়া যাবে না। জল জীবন প্রকল্পের এত টাকা এসেছে, কোনো মানুষের সামনে জল নেই। আবার প্রকল্পের নামও বদলে দেওয়া হচ্ছে।
দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে টাকা এলেও সেই টাকা ব্যবহার করা না হলে আর কোনো টাকা পাঠানো হবে না। দু’বার-তিনবার টাকা এসেছে। ১০০ দিনের প্রকল্প টাকা এসেছে, আবাস যোজনার টাকা এসেছে। আপনারা কী করছেন, এই টাকা নিয়ে তার হিসেব তো দিতে হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন য়ত এগিয়ে আসছে, ততই বোমা বাঁধা ও বিস্ফোরণের ঘটনা বাড়ছে। মর্মান্তিকভাবে শিশুরা পর্যন্ত মারা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। জানি না সাধারণ মানুষকে কে বাঁচাবে। মুখ্যমন্ত্রী তো নিজের পার্টিকে বাঁচাতেই ব্যস্ত। তাঁর সরকারেউ ডামাডোল চলচে। যারা ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। তাদের দায়-দায়িত্ব কে নেবে।