বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::আদানি গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর থেকেই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড়! এই অবস্থায় ব্যাঙ্কে টাকা রাখা আদৌও নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিশেষ করে একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে আদানি গোষ্ঠী মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
যদিও এই অবস্থায় বিবৃতি জারি করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আর সেখানে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি সম্পূর্ণ ভাবে সুরক্ষিত এবং নিরাপদ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আরও জানাচ্ছে, রেগুলেটর এবং ব্যাঙ্কগুলির উপর সুপারভাইজার করার জন্যে দেশের পুরো ব্যাংকিং সেক্টর এবং ব্যাঙ্কগুলির উপর কড়া নজরদারি চালানো হয়। যাতে ফাইন্সিয়াল স্টেবিলিটি বজায় থাকে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় এই ব্যাঙ্ক। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হচ্ছে এক ব্যাবসায়ীক গোষ্ঠীকে দেওয়া লোন নিয়ে সংবাদমাধ্যম একাধিক দাবি করছে। কিন্তু আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিয়ন্ত্রক এবং নজরদার হিসাবে আরবিআই ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের উপর প্রতিনিয়ত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি আরবিআইয়ের দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে কেন্দ্রীয় ভাবে সমস্ত ঋণের (CRILC) তথ্য আছে। যার মাধ্যমে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া পাঁচ কোটি টাকার বেশি লোনের উপর মনিটারিং করা হয়। ফলে সবদিক থেকেই ব্যাংকিং সেক্টর সুরক্ষিত এবং মজবুত রয়েছে বলেই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, এই আগে দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ব্যাংকিং সেক্টর মজবুত রয়েছে। আর তা তিনি দায়িত্ব নিয়েই বলছেন বলেও মন্তব্য করেন নির্মলা সীতারমণ।
বলে রাখা প্রয়োজন, মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরে একদিকে যেমন আদানির বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার জামে রেকর্ড পতন হয়েছে, ঠিক তেমনই আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে আদানিকে ঋণদানকারি এসবিআই এবং এলআইসি। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশের সব থেকে বড় সরকারি ঋণদানকারী ব্যাঙ্ক আদানিদের বিভিন্ন সংস্থাকে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। আর এরপরেই আশঙ্কার একটা কালো মেঘ তৈরি হয়। যদিও এরপরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কাছে জানতে চেয়েছে, তারা ঠিক কত টাকা আদানি গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ দিয়েছে। সূত্রের আরও খবর, এক্ষেত্রে ঋণ ফেরতের ক্ষেত্রে জমানত হিসেবে কী রাখা রয়েছে এবং এব্যাপারে আর কোনও কিছু ব্যাঙ্কগুলির কাছে রয়েছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়।