বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::কেষ্টর ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
যদিও জামিনের কোনও আর্জি জানানি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু কেষ্টর বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক তথ্য আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। গরুপাচারের টাকা লেনদেনের জন্য আরও ১১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই অ্যাকাউন্ট গুলি যে প্রভাব খাটিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের গরুপাচার কাণ্ডে ১১৭ টি এবং ১৬০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।
ফের অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। কেষ্টর আইনজীবী কিন্তু জামিনের আর্জিও জানাননি। কাজেই জামিন এখনই চাইছেন না কেষ্ট সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। নিজের উপর থেকে প্রভাবশালী তকমা সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল যে প্রভাবশালী লোক নন সেটা বোঝাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফরে ব্যবহার করা হয়নি কেষ্টর কোনও ছবিও। তবে কেষ্টর জায়গায় কাউকে বসাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
আরও ১১৫টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। আদালতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে সিবিআই। আদালতে তদন্তকারীরা জানিয়েছে গরু পাচারের টাকা লেনদেনের জন্য আরও ১১৫টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার জানিয়েছেন উচ্চ পদস্থ আধিকারীকদের চাপে ২ দিনের মধ্যে খোলা হয়েছিল অ্যাকাউন্টগুলি। ১৬ জনকে জেরা করে এই তথ্য হাতে পেয়েছে তদন্তকারীরা। যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তাঁরা কিন্তু কিছুই জানেন না সেকথা। তাঁরা কেবল টিপ ছাপ দিয়েছেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যাঁদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তাঁদের কাছ থেকে আধার কার্ড প্যান কার্ড নেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের নাম করে। তারপরে তাঁদের নামে খোলা হয়ে যায় অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকার লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তাঁরা কিন্তু কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ঘুরপিয়ে কেষ্টর অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল বলে দাবি করেছে তদন্তকারীরা।
গরুপাচারের টাকা পাচারে উঠে এসেছে রাজীব চট্টোপাধ্যায়র নাম। তদন্তকারীরা আদালতে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী চিকিৎসায় টাকা দিয়েছিলেন যে রাজীব চট্টোপাধ্যায় তাঁর অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে গরুপাচারের টাকা। এই সব সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকেই তাঁর ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকেছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এই সব সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকেই ঘুর পথে গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে কেষ্টর অ্যাকাউন্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।