বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::সরকারি বাসভবনে থেকেও কীভাবে ‘এইচআরএ’ বা বাড়িভাড়া ভাতার সুবিধা! রাজ্য পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন শুভেন্দু অধিকারী।
মিড ডে মিল, আবাস যোজনা দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন তিনি।
এবার পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে ‘এইচআরএ’ বা বাড়িভাড়া ভাতার সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা।
শুধু তাই নয়, রাজ্য অর্থসচিব মনোজ পন্থের কাছে চিঠিও লিখেছেন তিনি। যেখানে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমনকি কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। যা নিয়ে নতুন করে অস্বস্তি রাজ্য প্রশাসনে।
যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এমনকি পুলিশের তরফেও কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেই মিড ডে মিলের টাকাতে কখনও মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের খরচ মেটানোর তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরেছেন। আবার কখনও মিড ডে মিলের টাকাতে বগটুইয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। এমনকি এই বিষয়ে যাবতীয় নথিও নাকি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে তুলে দিয়েছেন। এবার তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই বারবার বাংলায় কেন্দ্রীয় টিম। যা নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আর এই বিতর্কের মধ্যে পুলিশের একাংশের বাড়তি সুবিধা পাওয়া নিয়ে টুইট করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের অর্থ সচিবকে লেখা চিঠিতে একাধিক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি বলছেন, সরকারি বাসভবনে থাকার পরেও সংশ্লিষ্ট ভাড়া পদাধিকারীকে দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়ে কোনও সরকারি নির্দেশিকা নেই। কিছু অফিসার যারা ‘প্রিয়’ তাঁদেরকে এহেন অবৈধ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
অবিলম্বে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে অর্থসচিবকে চিঠিতে লিখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে বাড়তি যে টাকা খরচ হচ্ছে তা ফেরত নেওয়ার ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয়, এমন চলতে থাকলে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর এই চিঠি নিয়েই শুরু হয়েছে যাবতীয় বিতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা করার অভিযোগে সরব তৃণমূল মুয়খপাত্র কুণাল ঘোষ। শুধু তাই নয়, অর্থহীন বিষয় বলেও ব্যাখ্যা তাঁর। কুণালের মতে, হতাশা থেকে এমন অভিযোগ করছেন। এর কোনও সত্যতা নেই। এমনকি এর আগে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ করেছেন বলে আক্রমণ তৃণমূল নেতার।