বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::রাজনৈতিক দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা সভ্যতার একটা অংশ।

 

কিন্তু কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রাজনীতির মঞ্চে নেতা হয়ে গেলে এমন ঘটনায় ঘটে, যা রবিবার ঘটলো দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপির সাংগঠনিক সভায়। মহিলা কর্মীকে কটুক্তির পরই তিনি লাঠি হাতে বিজেপির কার্যকর্তাদের দিকে তেড়ে যান। এমনকী ওই মহিলা বিজেপি কর্মী জুতো নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্যকে মারতে উদ্যতও হন। যদিও বিজেপির অন্যান্য কর্মীরা ওই মহিলা কর্মীর হাত থেকে জুতো কেড়ে নেন।

সূত্রের খবর,দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে চলছিল, বিজেপির প্রাক-পঞ্চায়েত সাংগঠনিক সভা। নামখানা ব্লকের বকখালিতে‌ জেলার কার্যকারিনী বৈঠক চলাকালীন এক মহিলা কর্মীকে কটুক্তি ঘিরে শুরু হয় বচসা। সেই বচসা থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি। এমনকী লাঠালাঠিও।
বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ওই মহিলা কর্মীকে কটূক্তি করার পাশাপাশি হাত ধরে টানাটানির অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা ওই মহিলার বিরুদ্ধে জেলা সভাপতিকে বিদ্রুপ করার অভিযোগ করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার এই বৈঠক থেকে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। যদিও প্রকাশ্যে নেতৃত্ব এই ঘটনাকে স্বীকার করেছে না। তাদের বক্তব্য বিজেপিতে গণতন্ত্র আছে। তাই প্রত্যেকেই নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। এতে সাময়িক কিছু সমস্যা হলেও তা মিটে যাবে। বিজেপির জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য কোনো গণ্ডগোলের কথা মানতে চাননি। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুমিত আদক বিষয়টি খুব ছোটো বলে জানিয়েছেন। তবে বিজেপির দলীয় অভ্যন্তরীণ মিটিংয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিটকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। এমন ঘটনায় বিস্মিত সকলেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here