বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::গতবারের তুলনায় এবার বিজেপির পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে।

 

এদিন হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা কার্যকারিনী বৈঠকের পরে এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একদিকে তিনি যেমন উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধির দাবি করেছেন, অন্যদিকে নিশানায় এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারকে।

বাঁকুড়ার তালড্যাংড়ার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী থানায় ডায়েরি না নিলে বড়বাবুদের থানা থেকে বিতাড়িত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যা করে থাকেন বিরোধীরা, সেই মন্তব্য শাসকদলের বিধায়কের গলায়। যা নিয়ে এদিন মন্তব্য করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ফেস সেভ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। চুরির লাইসেন্স রিনিউয়্যাল করতে হবে। গত ২০১৮ সালে বাঁকুড়ায় ভাইপো দায়িত্বে ছিল আর ভোট পরিচালনা করেছিল বিনয় মিশ্ররা। কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, তৃণমূল বুঝেছে, মনোনয়ন কিংবা ভোট আটকানোর সুযোগ নেই।

বিরোধী দলনেতা বলেছেন, শাসকদল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া কাটাতে চাইছে। তিনি আরও বলেছেন, অপা সিন্ডিকেট, আবাস ও শৌচাগার দুর্নীতি দেখার পরে গ্রামের মানুষকে বোকা ভাবার কারণ নেই। দক্ষিণ কলকাতার প্রাসাদে থেকে রাঢ় বঙ্গ কিংবা উত্তরবঙ্গের মানুষকে ফের একবার টুপি পরানো যাবে না, বলেছেন তিনি।

ডিএ নিয়ে সোমবার দুঘন্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এব্যাপারে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, পুরো সমর্থন রয়েছে তাঁর। সব রাজ্য ডিএ দিয়েছে। এবার এবিষয়টি নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক গণ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এর থেকে আরও বেশি কিছু করলেও তাঁর সমর্থন রয়েছে, বলেছেন বিরোধী দলনেতা।

শনিবার শুধুমাত্র ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রশাসনিক বৈঠক করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি সকালে টুইট করে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্যে সাংসদদের নিয়ে কোনও ভিজিল্যান্স টিম তৈরি কিংবা বৈঠক করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সেখানেই তাঁর প্রশ্ন এটা গণতন্ত্র না রাজতন্ত্র। তিনি বলেন, সবাই জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার পশ্চিমবঙ্গকে শাসন ও শোষণ করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেছেন, একটা লোক প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে যা খুশি তাই বলে যাচ্ছে আর পিছনে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর মতো মাথা নিচু করে রাজনৈতিক বক্তব্য শুনছে। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, সত্যি আইএএস হয়ে থাকলে, সেই সময় ওখান থেকে সরে যেতেন জেলাশাসক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here