বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::কেন তাঁকে ভাব বাচ্যে বলা হয়।
শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে এই প্রশ্ন করেছিলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার বৈঠক শেষে এর উত্তর দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন ভাইপো ছাড়া, তাঁর আর কোনও পরিচয়ই নেই। তৃণমূলে সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা খারাপ অবস্থায় রয়েছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
এদিন হাওড়া থেকে বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট বার্তা দেন স্পেশাল প্রিভিলেজ ভাইপোকে দেওয়া যাবে না। ডায়মন্ডহারবারের মতো বাকি ৪১ জন সাংসদের ক্ষেত্রেও প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং করতে হবে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাকি তিনটি সংসদীয় ক্ষেত্রে যেখানে তৃণমূলেরই সাংসদরা রয়েছে, সেখানেও প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং করতে হবে, একই ব্যবস্থাপনায়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, না করা হলে জনস্বার্থ মামলা করবেন তিনি। কোন দলের প্রতিনিধি তা তার জানার দরকার নেই, তিনি সবাইকে প্রোটেক্ট করতে চান বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা এদিন বলেছেন, ভাব বাচ্যে বলা হয় কারণ, ভাইপো ছাড়া তার আর কোনও পরিচয় নেই। আদর করে অনেকে তোলাবাজ বলে, অনেকে কয়লা ভাইপো বলে, ঘরের লোককে সোনা বৌদি বলে, যেহেতু সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পরিচয় হচ্ছে কেবলমাত্র ভাইপোই।
এদিন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সব জায়গায় রয়েছে। লাল চুল, কানে দুল, তার নাম যুবা তৃণমূল। সেখানে রয়েছে ভাইপো, কুন্তল ঘোষ আর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। রাজ্যে এদের হাতেই সব। আর যাঁরা শুরুতে তৃণমূল করেছিল, তাঁদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মঞ্চে সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা সুযোগ পান না। পিসি থাকে আর ভাইপো থাকে। তিনি বলেন, তৃণমূলের রক্ষা কবচ কুন্তল ঘোষের ক্ষেত্রে কাজ করেনি।
বিরোধী দলনেতা হাওড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে ফের একবার উলুবেড়িয়া দিয়ে গরু পাচারের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বজবজের পূজালিতে। সেখানে তৃণমূলের লোকেরা পুলিশকে টাকা দিয়ে গরু বাংলাদেশে পাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নটোরিয়াস ক্রিমিনাল বলে বর্ণনা করেন। এরপরেই তিনি বলেন, নোটবন্দির সময় বিধাননগরের ব্যাঙ্কে স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা পরিবর্তন করেছেন। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অপেক্ষা করুন, দেখতে থাকুন।