বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে তুলকালাম-কাণ্ড ঘটে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে।

 

 

নামখানা ব্লকের বকখালিতে‌ জেলার কার্যকারিনী বৈঠক চলাকালীন এক মহিলা কর্মীকে কটুক্তি ঘিরে শুরু হয় বচসা। সেই বচসা থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি। এমনকী লাঠালাঠিও।

মহিলা কর্মীকে কটুক্তির পরই তিনি লাঠি হাতে বিজেপির কার্যকর্তাদের দিকে তেড়ে যান। এমনকী ওই মহিলা বিজেপি কর্মী জুতো নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্যকে মারতে উদ্যতও হন। যদিও বিজেপির অন্যান্য কর্মীরা ওই মহিলা কর্মীর হাত থেকে জুতো কেড়ে নেন।

বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ওই মহিলা কর্মীকে কটূক্তি করার পাশাপাশি হাত ধরে টানাটানির অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা ওই মহিলার বিরুদ্ধে জেলা সভাপতিকে বিদ্রুপ করার অভিযোগ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার এই বৈঠক থেকে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।

বিজেপির জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য কোনো গণ্ডগোলের কথা মানতে চাননি। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুমিত আদক বিষয়টি খুব ছোটো বলে জানিয়েছেন। তবে বিজেপির দলীয় অভ্যন্তরীণ মিটিংয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিটকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব।
ফ্রেজারগঞ্জ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি নীলকণ্ঠ বর্মন কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘এটাই ভারতীয় জনতা পার্টির সংস্কৃতি। এরা এখনো ক্ষমতায় আসেনি, অথচ নিজেদের মধ্যে খাওয়াখায়ি নিয়ে মহিলাদের হাত ধরে টানাটানি, মারপিট চলছে। মানুষ জানে এদেরকে ক্ষমতায় আনলে এরা রাজ্যজুড়ে মারপিটের অপসংস্কৃতি তৈরি করবে।

বিজেপির কর্মকাণ্ড নিয়ে সাধারণ মানুষই মাথা ঘামাতে চাইছে না। আর এদের নেতাদের শুধু বড় বড় কথা। আগে নিজেরা মানুষ হোক, তারপর মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবে।’ উল্লেখ্য, মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বৈঠক ছিল বকখালির একটি আবাসিক হোটেলে। উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিজেপি নেত্রী রুপা গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিন্তু তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক-সহ বাকি জেলা নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্বের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েকজন কর্মী-‌সমর্থক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এরপর পাল্টা জেলা সভাপতিও বিদ্রুপ করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। বৈঠকস্থল দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপরেই শুরু হয়ে যায় ব্যাপক গণ্ডগোল।
মহিলা কর্মী বলেন, ‘জেলা সভাপতি আমার বিরুদ্ধে অশালীন কথা বলেন। প্রতিবাদ করায় হাতে ধরে টানতে থাকেন। তখন আমি জুতো নিয়ে মারতে উদ্যত হই। এরপরেও উনি আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আমি রীতিমতো আতঙ্কে আছি। আমি বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’ জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কোনো গণ্ডগোল হয়নি। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সব মিটে গিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here