বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::খাদ্য দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ এবার সামনে এল জেলবন্দি যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধ।

 

 

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর থেকে সে যতবার মিডিয়ার সামনে এসেছে, ততবারই কারও না কারও নাম করে নিশানা করেছে।

জেল বন্দি হতেই যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে। এবারের অভিযোগ, খাদ্য দফতরের চাকরি দেওয়ার নাম করে সে টাকা তুলেছিল। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে হুগলির জিরাটের সেই মহিলা অভিযোগ করেছেন, ২০২০-তে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষকে। মহিলার দাবি, তাঁর বাড়ির পাশেই থাকতেন কুন্তলের দিদি কুন্তলা। সেই থেকেই পরিচয় কুন্তল ঘোষের সঙ্গে। ওই মহিলার দাবি, কুন্তলের দিদি ওই মহিলাকে বলেন, তার ভাই (কুন্তল) চাকরি পাইয়ে দেবে। কিন্তু তার জন্য দিতে হবে আট লক্ষ টাকা। ২০ দিনের মধ্যে চাকরি হবে, খাদ্য দপ্তরে।

ওই মহিলার দাবি, প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা দিতে বলেছিল হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তবে একবারে ওত টাকা দিতে পারবেন না বলে জানানোয় প্রথমে তিন লক্ষ টাকা নগদে নিয়েছিল কুন্তল। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নয়, বলাগড়ের বাড়িতে বসেই নগদ ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিল কুন্তল। চাকরি হয়ে গেলে তারপর বাকি টাকা দিতে হবে বলে ওই মহিলাকে জানিয়েছিল কুন্তল ঘোষ, দাবি ওই মহিলার।
ওই মহিলা নিজে বিড়ি বেধে, পেন ফ্যাক্টরিতে কাজ করে তিলে তিলে টাকা জমিয়েছিলেন। ছেলের চাকরির জন্য নিজের মায়ের থেকেও টাকা ধার নিয়েছিলেন ওই মহিলা।

কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরেও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা। তবে কুন্তল আর দেখা করেননি বলে অভিযোগ। এরপর বলাগড়ের বাড়িতে গেলে দারোয়ান তাড়িয়ে দিত বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।
এখন ওই মহিলার টাকার প্রয়োজন মেয়ের চিকিৎসার জন্য। সেই পরিস্থিতিতে টাকা না পেয়ে কুন্তল ঘোষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন ওই মহিলা।

এব্যাপারে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, তৃণমূল যে একটা কোম্পানি এটা বিরোধী দলে নেতা বারবার বলে থাকেন। এই কোম্পানির কাজ হচ্ছে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা। যার উদাহরণ কুন্তল ঘোষ। একাধিক মানুষের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি আশ্বাস দিয়েছিল সে। তৃণমূলের এই নেতা একটা বড় প্রতারক। এই প্রতারণার জাল কতদূরে, তা সাধারণ মানুষ জানতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে এই অভিযোগ সম্পর্কে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, কুন্তলের দিদি কিংবা কুন্তলের বাড়ির অন্য কারও থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here