বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাসকে লক্ষ্য করে খোদ পুলিশ গুলি চালাল বলে অভিযোগ।

 

 

গুলি লাগে তাঁর বুকে। গুরুতর জখম হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরের কছে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রজরাজনগরের গান্ধীচকে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।

নবীন পট্টনায়কের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজেডি বিধায়ক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ব্রজরাজনগরে। সেখানে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বুকে। কিন্তু পরে জানা যায় এই গুলি চালিয়েছে খোদ পুলিশই।

গুলি লাগার পরই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নব দাস। চটজলদি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি তিনি। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে ওড়িশার সুরক্ষা ব্যবস্থা। কী কারণে ওই পুলিশ আধিকারিক হামলা চালাল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ-প্রশাসন।

তদন্ত নেমে এসডিপিও গুপ্তেশ্বর ভোই জানিয়েছেন, মন্ত্রীকে লক্ষ্যে করে গুলি চালিয়েছেন এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর গোপাল রায়। মন্রী নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এক-আধটা নয়, চার-পাঁচটা গুলি চালানো হয়। মন্ত্রীর বুকে লেগেছে ওই চার-পাঁচটি গুলি।

এসডিপিও জানিয়েছেন, কেন ওই এএসআই মন্ত্রীকে লক্ষ্যে করে গুলি চালালেন তা স্পষ্ট নয়। আমরা ওই এএসআইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুলি চালানোর কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছি। গুলি চালানোর সময় ওই অফিসার পুলিশের উর্দিতেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার ব্রজরাজনগরের ওই অনুষ্ঠানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এএসআই গোপাল রায় ছিলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে। তিনিই কি না মন্ত্রীকে গুলি করে বসলেন। রক্ষকই হয়ে গেলেন ভক্ষক। যাঁকে নিরাপত্তার কাজে নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই তিনিই নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি ভেঙে দিলেন।

ওড়িশায় মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পডেছে। এই ঘটনার পর গান্ধী চকে ধর্নায় বসেছেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের অভিযোগ এই গোটা ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পিত। পুলিশ পরিকল্পনা করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মন্ত্রীর উপর ক্ষোভ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে নাকি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনাযক এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশও বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত এএসআইকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন তিনি এমন ঘটনা ঘটালেন, যাতে পুলিশ-প্রশাসন প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় অন্য কেউ লিপ্ত রয়েছেন কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here