বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট প্রচারে গিয়ে সিপিএম ও তৃণমূলকে একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বর্তমানে উত্তরবঙ্গে জেলা সফর করছেন। রবিবার মালদহ জেলা সফরে দিলীপ ঘোষ সিপিএমের নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার উদাহারণ টেনে তৃণমূলকে সবক শেখান।
দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে হিরো থেকে জিরো হয়েছে সিপিএম তা আমরা দেখেছি। ত্রিপুরাতেও তাই হয়েছে। এখন শুধু টিমটিম করে জ্বলছে কেরালায়। কেরালাতেও তাদের দিন ঘনিয়ে আসছে। এবার তৃণমূলও সাবধান। অতি বাড় বাড়লে তাকে চলে যেতেই হবে। যেমনটি হয়েছিল সিপিএমের।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, একটা সময়ে বাংলায় ৪২-এর মধ্যে ৩৬ জন সংসদ ছিল সিপিএমের। এখন সেখানে জিরো। আবার বিধানসভাতেও সিপিএম তথা বামেরা ছিল ২৩৪। তখন কটাক্ষ করে সিপিএম বলত, আমরা ২৩৪ আর ওরা ৩৪। তারপর এখন বিধানসভাতেও শূন্য হয়ে গিয়েছে সিপিএম।
সিপিএমের এই উদাহারণ দিয়ে দিলীপ ঘোষ সবক শেখালেন তৃণমূলকে। এখন সংখ্যা নিয়ে বড়াই করছে তৃণমূলও, একদিন আসবে সিপিএমের মতো তৃণমূলও শূন্য বয়ে যাবে। পঞ্চায়েত ভোট আসছে, আমরা লড়াই করব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তৃণমূলের আরও কিছু নেতারা জেলে চলে যাবেন।
দিলীপ ঘোষ বলেন, বিহার ও উত্তরপ্রদেশেও আমরা পরিষ্কার করেছি। বাংলাকেও পরিষ্কার করব আমরাই। সেই লক্ষ্যে রেখেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগে জেলা জেলা সফর করছি আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি। মালদহ সফরে গিয়ে একাধিক বিষয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে খোঁচা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ভারতীয় সিস্টেম ও জীবনপদ্ধতি বাদ দিয়ে রাজনীতি করলে মানুষ তা স্বীকার করবেন না। সিপিএম সেই চেষ্টাই করে গিয়েছে, তাই বাংলার, ত্রিপুরার মানুষ তাদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এখন ত্রিপুরাতে সবার সঙ্গে হাত মিলিয়েও সিপিএম কিছু করতে পারবে না। তাদের অবস্থা একইরকমই হবে।
তৃণমূলও বাংলায় লুঠতরাজ চালাচ্ছে। দুর্নীতির পর দুর্নীতি করে গিয়েছে। পার্টি তলা থেকে ডগা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। তাই তো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ গিয়েছে, আর তার তদন্ত চলছে। এই তদন্তের হাত থেকে কারও রক্ষা নেই। এ রাজ্যে তৃণমূলেরও মুষলপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। আর বেশিদিন দেরি নেই।
এখন আবার ভিনরাজ্যে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। ত্রিপুরা ও মেঘালয়েও তৃণমূল ইউনিট গড়েছে। ভিনরাজ্যে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। কিন্ত একটা পঞ্চায়েতও জিততে পারবে না ত্রিপুরায়। জেলা সফরে গিয়ে অভিষেক ও মমতাকেও খোঁচা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।