বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::সম্প্রতি ভিনরাজ্যে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের সর্বভারতয়ী সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অসম, গোয়ার পর ত্রিপুরা ও মেঘালয়েও তৃণমূল ইউনিট গড়েছে। ভিনরাজ্যে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।
কিন্ত তিনি একটা পঞ্চায়েতও জেতাতে পারবেন না ত্রিপুরায়। জেলা সফরে গিয়ে অভিষেককে খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার মালদহ সফর করে তিনি এক ডাকে অভিষেক কর্মসূচি ত্রিপুরায় শুরু করার পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এক ডাকে অভিষেক-এ ফোন করলে বিরোধীদের দাঁড়িয়ে থেকে মনোনয়নের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এই কর্মসূচি তিনি ত্রিপুরায় গিয়ে পালন করুন না। তারপরই দেখবেন কী হয়!
এরপর তিনি বলেন, পিসি-ভাইপো তো টাকার থলি নিয়ে ঘুরে বেড়ালেন ত্রিপুরা, অসম, গোয়া। কিন্তু কোথাও একটা পঞ্চায়েতও কি জেতাতে পেরেছেন, পারেননি। এমএলএ, এমপি পদে জেতাতে দূর অস্ত। এবার ত্রিপুরাতেও ঝামা ঘষে দেবে। তাই বলছি ভুলেও ওসব ডায়লগ দিতে যাবেন না ত্রিপুরায়।
দিলীপের কথায়, এক ডাকে অভিষেক, দিদিকে বলো, দিদির সুরক্ষ কবচ- এসব হল ঢপের কীর্তন। যেদিন পুলিশ সরে যাবে, দেখবেন রাস্তায় মানুষ জামা-প্যান্ট খুলে নেবে। এরপর দিলীপ প্রশ্ন তোলেন, দিদিকে বলোতে কেই দিদির সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন? পারেননি, পারবেনও না।
দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের নাম এখন হয়ে উঠেছে কাটমানি ক্ষেত্র। আসলে মমতা বন্যোবঙপাধ্যায়ের রাজত্বে কুশাসনে ছেয়ে গিয়েছে বাংলা। জঙ্গলমহল বলুন আর উত্তরবঙ্গ- মানুষ কিছু পায়নি। তাই তারা আলাদা হতে চাইছে। মানুষকে দোষ দিয়ে আর কী লাভ!
এদিন অমর্ত্য সেনের মন্তব্য নিয়েও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। অমর্ত্য সেনের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দিদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, মোদী হটাও দেশ বাঁচাও যাঁরা বলেছিলেন, তাঁরাই এখন হটে গিয়েছেন। এখন তাই অমর্ত্য সেনের সার্টিফিকেট নিতে হচ্ছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, যে লোকটাকে কেউ মানেই না, সেই তিনিই দিচ্ছেন সার্টিফিকেট। বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রয়েছেন। মানে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। সব জমি চোরেরা এক হয়ে গিয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, আপনি যে জমি দখল করে রেখেছেন, ওই জমির দলিল দেখান। তারপর চোখ রাঙাবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে।