বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::তৃণমূল নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ভেঙেই চলেছে।
কংগ্রেসের এই শক্তিক্ষয় প্রকারন্তরে অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিজেপিকে। ভোটের আর এক মাসও বাকি নেই, তার আগে তৃণমূল এলাকায় এলাকায় কংগ্রেসে ভাঙন ধরাচ্ছে। তবে শুধু কংগ্রেসই নয়, সিপিএম এবং বিজেপি শিবির থেকেও তৃণমূলে যোগদান হচ্ছে ভোটের আগে।
তৃণমূল কংগ্রেস সম্প্রতি ৫টি দলীয় কার্যালয়ের সূচনা করেছে ত্রিপুরায়। বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয় ৫টি পার্টি অপিসের। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জোয়াদুল হোসেনের উপস্থিতিতি ওই একই বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে উদ্বোধন হল দলীয় কার্যালয়ের।
দলীয় কার্যালয়ের উদ্বাধনের দিনই বিজেপি ও সিপিএমে ভাঙন ধরে। বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় সিপিএম ও বিজেপির ১২ জন কোর কমিটির সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। বক্সনগর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি জোয়াদুল হোসেন বলেন, এই যোগদানে তৃণমূলের শক্তি অনেকটাই বাড়বে।
তাঁর কথায়, ক্রমেই তৃণমূল এই কেন্দ্রের দাবিদার হয়ে উঠছে। যত দিন যাচ্ছে তৃণমূলের দিকে মানুষ ঝুঁকছেন। আমাদের বিশ্বাস আরও মানুষ আমাদের সঙ্গে আসবেন। ত্রিপুরার মানুষ এবার নির্বাচনে আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। কোনও বাধাই আমাদের এবার ঠেকাতে পারবে না। তার ফল একইসঙ্গে পাঁচটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন।
তৃণমূল বক্সনগরে ৫টি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেছে আশাবাড়ি, পুটিয়া, বক্সনগর, রহিমপুর ও উত্তর বক্সনগর এলাকায়। এই পাঁচটি অফিস উদ্বোধন নিশ্চিতভাবেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে শক্তি জোগাবো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের উৎসাহ-উন্মাদনাও বাড়বে এলাকায়।
অন্যদিকে বিশালগড়ে কংগ্রেসে ভাঙন ধরাতে সমর্থ হয়েছে তৃণমূল। একাধিক কংগ্রেস সদস্য যোগদান করছেন তৃণমূলে। বিশালগড় বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অরবিন্দ নগর পঞ্চায়েক এলাকায় ৬৫ জন সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান করেছেন তৃণমূলে। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযুষকান্তি বিশ্বাসের হাত ধরে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
পীযুষকান্তি বিশ্বাস বলেন, ত্রিপুরার মাটিতে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে তৃণমূল। মানুষের স্বার্থে কাজ করার জন্য তৃণমূলের উপর ভরসা বাড়ছে মানুষের। বিশালগড় এলাকায় মানুষ যেভাবে আমাদের আশীর্বাদ করছে, তাতে আমরা অভিভূত। আমরা সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন কংগ্রেস নেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্য রুবি বেগম। কংগ্রেসের কৈলাসহর জেলা পরিষদের সদস্য রুবি বেগম। তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে আগরতলায় এসে যোগদান করেন তৃণমূলে। তাঁর যোগদানে দল যে আরও শক্তিশালী হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।