বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::ইতিমধ্যে বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের জমি বির্তক নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।
উপাচার্য বিদ্যুৎ চাকর্বর্তীর দুটো অভিযোগ – (১) অমর্ত্য সেন নোবেল জয়ী নন ও (২) তিনি বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি অধিকার করে রেখেছেন। এই নিয়েই শুক্রবার তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় মুখ খোলেন। কড়া ভাষায় সৌগত রায় বলেন, “বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কেন্দ্রের ধামা ধরা লোক। উনি জেনেশুনে বদমাইশি করছেন। অমর্ত্য সেনকে অসম্মান করার ধৃষ্ঠতা দেখাচ্ছেন। এ ভাবা যায় না। বোগাস অভিযোগ। অমর্ত্য সেন ক্ষিতি মোহন সেনের বংশধর। উনি ঠিক সিদ্ধান্ত-ই নিয়েছেন যে মামলা করবেন না। ওনার ৯০ বছর বয়েস। আর নোবেল ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, সাহিত্যে দেওয়া হত। পরে সুইডিশ ব্যাংক অর্থনীতিকে আওতায় আনে। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমর্ত্য সেনের এই পুরস্কার পেয়েছেন।” এই বিষয়ে সৌগত রায়ের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
অনেকদিন ধরেই বিশ্বভারতীর নতুন উপাচার্য নানা বির্তকিত মন্তব্য করে চলেছেন। তিনি বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলেই অনেকে মনে করেন। এদিকে অমর্ত্য সেন বাম মনোভাবাপন্ন হলেও সম্প্রতি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুখ্যাতি করে বলেছেন,মমতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে। নাগরিক মহলের ধারণা, এই কারণেই হয়তো অনেকে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এমন কি অমর্ত্য সেন নিজেও বলেছেন, ” আমাকে হয়তো অনেক রাজনীতির মানুষেরা পছন্দ করেন না।”