বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::এখন টিভিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মুখ প্রতিনিয়ত দেখতে আমরা অভ্যস্ত।
এমন দিন যায় না যেদিন মিস্টার ঘোষ টিভিতে তাঁর কোনো না কোনো প্রতিক্রিয়া জানান না। সেই কুণাল ঘোষ একটি ছবি পোস্ট হয়েছে সিঙ্গাপুরের এস্প্ল্যানেড পার্ক থেকে। বিষয়টা কী? কৌতূহলী সকলেই। প্রজাতন্ত্র দিবসে সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে নেতাজিকে সম্মান জানিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার । পেডাংয়ে আজাদ হিন্দ বাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভকে জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করেছে তারা।
১৯৪৩ সালে এখন থেকেই ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছিলেন নেতাজি। সেই ইতিহাস সংরক্ষিত আছে সিঙ্গাপুরে। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল হেরিটেজ বোর্ড বলেছে, ‘‘দৃঢ় জাতীয় ঐতিহাসিক এবং সামাজিক তাৎপর্য বিবেচনা করে স্মৃতিস্তম্ভটিকে সংরক্ষণ করা হবে। সেইসঙ্গে সিঙ্গাপুরের স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণ আইনের অধীনে সর্বোচ্চ স্তরের সুরক্ষা প্রদান করা হবে স্মৃতিস্তম্ভটিকে।’’ মালয় ভাষায় ‘পেডাং’ কথার অর্থ হচ্ছে ‘একটি ক্ষেত্র’। এটির জনসাধারণের প্রকৃতির দ্বারা আলাদা ছিল। ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের স্মৃতি বহন করে এই পাডাং। ভারতীয়দের স্মৃতিকাতর করে। কুণাল ঘোষ জানাচ্ছেন, “একটা ভিন্ন কাজে সিঙ্গাপুর এসেছি। আর এখানে আসব না, INA স্মারকে আসব না এটা হতে পারে না। তাই এখানে এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।’’ ২০০ বছর বয়সী সিঙ্গাপুরের পেডাং শহরে ৭৪টি জাতীয় স্মৃতিসৌধ রয়েছে, যার মধ্যে সাতটি সৌধ ভারতীয় সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত। ১৯৪৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জাপানিদের আত্মসমর্পণের বিজয় কুচকাওয়াজ পেডাংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা সিঙ্গাপুরের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আসছে। কোনো দেশপ্রেমী ভারতীয় অথবা রাজনীতির মানুষ হলে একবার অন্তত এখানে আসেন। আর রাজনীতিকরা অবশ্যই সেই ছবি পোষ্ট করেন।