বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যে আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েছে শাসকদলের ছোট থেকে বড়ো – বহু নেতা।

 

 

এবার কুন্তল তাপস হয়ে শান্তনু। শান্তনু তৃণমূল যুব কংগ্রেসের হুগলি জেলার নেতা। হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়ার গ্যারেন্টার। তাঁকে গ্যারেন্টি করেই চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন কুন্তল-তাপসরা। তিনজনরকে মুখোমুখি জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩০০ জনের নাম নামে তালিকা এবং চাকরি প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করেছে ইডি। শুক্রবার সেটা নিয়েই জেরা করা হবে বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। কীভাবে তাঁর কাছে এই নথি এল তার সত্যতা যাচাই করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এবার মনে হয় এই জট থেকে বেরিয়ে আসা ওই ত্রিভুজের(তাপস-কুন্তল-শান্তনু) পক্ষে অসম্ভব।

আগে শান্তনু মণ্ডলকে তলব করে ২০ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে। গতকাল সাড়ে ৮ ঘণ্টা জেরা করা হয়ছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে ইডি। তাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তারপরেই আবারও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর শান্তনুর নামে একটি রেস্তরাঁর হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে চাকরি বিক্রির টাকা দিয়েই সেই রেস্তরাঁটা তৈরি করেছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নামে এবং বেনামে আর কোনও সম্পত্তি রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শান্তনুর আত্মীয়দের সম্পত্তির হিসেব তলব করতে শুরু করেছেন ইডির আধিকারীকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তদন্তকারীরা। এবার সম্পত্তির খোঁজ চলেছে ওই নতুন ত্রিভুজের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here