বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রাক্তন আইএএস সিভি আনন্দ বোস।

 

 

 

তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। রাজ্যপাল হিসেবে শপথগ্রহণের পরের দিনই সিভি আনন্দ বোস দিল্লি সফরে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর এই সফর চার দিনের। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, প্রোটোকল মেনেই দিল্লি সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শপথ নেওয়ার পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট করাটা নিয়মের মধ্যেই পড়ে। তবে যে সময় রাজ্যের প্রধান বিরোধীর সঙ্গে শাসক তৃণমূলের সংঘাত তুঙ্গে এবং একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা রাজ্যে দুর্নীতির একাধিক মামলায় তদন্ত করছে, সেই সময় নতুন রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিন সকালে নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে নজিরবিহীন টানাপোড়েন তৈরি হয়। তাঁর বসার আসনের পাশেই বিজেপির টিকিটে জয়ী হওয়া দুই বিধায়ককে জায়গা দেওয়ার বিরোধিতা করে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও পরে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করে আসেন।
অন্যদিকে নতুন রাজ্যপালের শপথ গ্রহণের পরেই তাঁকে চিঠি লিখে ঝালদা পুরসভা এলাকায় শাসক দলরে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনায় এইসব বিষয় উঠবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এব্যাপারে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে প্রায় তিন বছর রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে কাজ করা বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সংঘাত ছিল চরমে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ধনখড় রাজ্য সরকারের অবস্থানের বিরোধিতা করবেন। তৃণমূল কংগ্রেস সেই সময় অভিযোগ করত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে বাংলার রাজভবন নিয়ন্ত্রিত হয়।

রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে সিভি আনন্দ বোস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও সংঘাত চান না। চিনি রাজনৈতিক নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ননস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করবেন। তাতে কোনও সংঘাত হবে বলে তিনি মনে করেন না। তাঁর বার্তা, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহাবস্থান আর সাংবিধানিক সীমারেখা বজায় রেখেই তিনি কাজ করবেন। তবে তিনি কতটা ধনখড়ের মতো হয়ে উঠবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তৃণমূলের অন্দর মহলে। কেননা রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তে দিল্লি থেকে যে প্রতিনিধি দল এসেছিল, তার সদস্য ছিলেন এই সিভি আনন্দ বোস। সেই প্রতিনিধি দল সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here